সাংবাদিক শিমুল হত্যার অভিযোগ গঠন ৮ আগস্ট

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাজশাহী অফিস সিরাজগঞ্জে সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলায় শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মিরুর জামিন আবেদন নাকচ করেছে রাজশাহীর দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনালের বিচারক। সোমবার দুপুরে শুনানি শেষে অনুপ কুমার মিরুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ মামলার চার্জ গঠনের জন্য আগামী ৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু জানান, সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে রাজশাহীর দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনালে মামলাটি স্থানান্তরের জন্য গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস পর গত ১৪ জুলাই ওই প্রজ্ঞাপনটি সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পৌঁছে। তিনি বলেন, বহুল আলোচিত এ মামলাটি রাজশাহীর দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনালে পৌঁছালে সোমবার আসামিদের জামিনের আবেদনের শুনানির দিন দেয়া হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক অনুপ সরকার আসামি মিরুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা অন্য ৩৭ আসামিকে ১০ হাজার টাকা বন্ডের বিনিময়ে বদলি জামিন দেয়া হয়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রম্নয়ারি শাহজাদপুর সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌরসভার মেয়র (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) হালিমুল হক মিরুর সমর্থকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মিরুর শর্টগানের গুলিতে সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতু্য হয়। এ ঘটনায় শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার খাতুন বাদী হয়ে মিরুকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উলেস্নখসহ ২৫ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ একই বছরের ২ মে পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মিরু ও তার ভাই মিন্টুসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় হালিমুল হক মিরু কারাগারে থাকলেও অপর ৩৭ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান।