সমুদ্রসৈকত দখলমুক্ত করতে শিগগিরই অভিযান

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কক্সবাজারে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার -যাযাদি
কক্সবাজার প্রতিনিধি জাতীয় নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেছেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীকে দখলমুক্ত করা এখন মাত্র সময়ের ব্যাপার। সেই সঙ্গে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতও দখলমুক্ত করা হবে। এ ব্যাপারে নদীকে রক্ষায় আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন যে ৪২০ জন দখলদারের তালিকা করেছে, তাদের উচ্ছেদ করতে হবে। এটি হতে পারে বাঁকখালী নদী রক্ষার প্রথম ধাপ। দখলদারের প্রকৃত সংখ্যা ৪২০ জনের স্থলে চার হাজারের বেশি হতে পারে। সীমানা নির্ধারণের পর আরও যেসব দখলদার চিহ্নিত হবে, তাদেরও পরবর্তীতে উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। বাঁকখালী নদী যদি আমরা দখলমুক্ত করতে না পারি, তা হবে আমাদের সুশীলসমাজের ব্যর্থতা, স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা, রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতা, আমাদের আগামী প্রজন্মের ব্যর্থতা এবং সভ্যতার ব্যর্থতা।' রোববার দুপুরে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আয়োজনে কক্সবাজার শহরের একটি অভিজাত হোটেলে 'দখল ও দূষণ থেকে বাঁকখালী নদী রক্ষায় করণীয়' বিষয়ে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য আলা উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আবছার, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নুরুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল, জেলা জাতীয় পার্টির নেতা মফিজ উদ্দিন, সিনিয়র আইনজীবী রমিজ উদ্দিন, আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের সমন্বয়ক নাজিম উদ্দিন, কলিম উলস্নাহ, এইচএম নজরুল ইসলাম প্রমুখ।