গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রংপুর প্রতিনিধি রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দেবরের মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেয়ার অপরাধে মানিকা বেগম মৌসুমী নামে এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে মাথার চুল কেটে গলায় জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি বুধবার বিকালে জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামে। এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া থানা পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীরের লিটন মিয়ার সঙ্গে দেড় মাস আগে মৌসুমী বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে কারও সঙ্গে মৌসুমীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ তোলেন স্বামী লিটন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তালাক পর্যন্ত গড়ায়। এমনকি মানিকা বেগমই জামাইকে নানা কথা বলে মৌসুমীর সংসার ভেঙেছে- এমন অভিযোগ তোলা হয়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কিছুদিন ধরে টানাপোড়েন চলছিল। এর জের ধরে বুধবার বিকালে আবদুল মতিন ও তার স্ত্রী, মেয়ের ভাই আবদুল মোতালেবসহ পরিবারের লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে মানিকা বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে। একপর্যায়ে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মাথার চুল কেটে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়। বিষয়টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে এসে মানিকা বেগমকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মানিকার স্বামী মোকলেছ মিয়া বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে গঙ্গাচড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পর আসামি আবদুল মতিন ও মোতালেবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।