তিন জেলায় ৩ খুন

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
তিন জেলায় গত দুই দিনে তিনজন খুন হয়েছেন। জামালপুরের ইসলামপুরে যুবক ও দিনাজপুরের খানসামায় যুবক ও মাগুরায় কৃষক খুন হয়েছেন। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতার পাঠানো খবর : ইসলামপুর (জামালপুর) : জামালপুরের ইসলামপুরে সেচ মেশিনের পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে চাচার ফলার আঘাতে ভাতিজার মৃতু্য হয়েছে। বুধবার দুপুরে ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারি ইউনিয়নের ডিগ্রির চর আকন্দ পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইদ্রিস আলী (৩৫) ওই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। ইসলামপুর সার্কেলের এএসপি সুমন মিয়া ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুলস্নাহ আল মামুন জানান, সেচ মেশিনের পাওনা সাড়ে ৩ হাজার টাকা নিয়ে ইদ্রিস আলীর সঙ্গে তার চাচা জালাল উদ্দিনের বিরোধ চলছিল। বুধবার ইদ্রিস আলী তার চাচা জালাল উদ্দিনের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জালাল উদ্দিন ও অপর চাচা হাসমত আলী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইদ্রিসের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো ফলার আঘাতে ইদ্রিস আলী গুরুতর আহত হয়। পরে স্বজনরা ইদ্রিসকে উদ্ধার করে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। খানসামা (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শুশলী গ্রামে গোলাপ ইসলাম (২৭) নামে এক যুবকের জবাই করা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১২ আগস্ট সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করতে নিহতের বড় ভাই আলতাব হোসেন, সৎ মা আসমা বেওয়া এবং সৎভাই রাব্বীকে থানায় আটক করা হয়েছে। নিহত গোলাপ ইসলাম উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের শুশলি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে। খানসামা থানা পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে গোলাপ ইসলাম খাবার খেয়ে তার নিজ ঘরে শুয়ে ছিল। আর পরের দিন মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পার্শ্বে স্থানীয় লোকজন রক্ত দেখে ইউপি সদস্য ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তের চিহ্ন দেখে দেখে নিহত গোলাপের বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে তার মাথাবিহীন দেহ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে। এরপর প্রায় ৮০০ মিটার দূরে গোলাপের শরীরবিহীন মাথা মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। খানসামা থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন প্রধান বলেন, গোলাপের বড় ভাই আলতাব হোসেন, সৎমা আসমা বেওয়া এবং সৎভাই রাব্বীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মাগুরা : মাগুরায় পূর্ব শত্রম্নতার জের ধরে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে কবীর হোসেন নামের এক কৃষক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ২০ জন। বুধবার বিকালে সদর উপজেলার সিংহডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানায়, পূর্বশত্রম্নতা নিয়ে একই গ্রামের খোরশেদ মীর ও বিলস্নাল শেখের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় মাঝে মাঝেই দুপক্ষের মধ্যে কথা চালাচালি হয়। এর জের ধরে বিকাল ৩টার দিকে স্থানীয় সিংহডাঙ্গা বাজারে চায়ের দোকানে খোরশেদ মীরের পক্ষীয় আবেদ মীরের সঙ্গে বিলস্নাল শেখের বাগ্‌বিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে উভয় দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এর মধ্যে হাসপাতালে আনার পথে খোরশেদ মীরের পক্ষের কবীর হোসেন মারা যায়।