ভুল চিকিৎসায় বাঞ্ছারামপুরে প্রসূতির মৃতু্যর অভিযোগ

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে চিকিৎসকের 'ভুল চিকিৎসায়' রত্মা বেগম-(২৭) নামে এক প্রসূতির মৃতু্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সদরের 'তিতাস ইউনিটি হাসপাতাল' নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। রত্মা বেগম ওই উপজেলার পাড়াতলি গ্রামের জামির মিয়ার স্ত্রী। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে মৃতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্তের সময় তার পেটে একটি মৃত ছেলে সন্তান পাওয়া যায়। রত্না বেগমের স্বামী জামির মিয়া সাংবাদিকদের জানান, গত শুক্রবার সকালে তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা ওঠলে তিনি তাকে স্থানীয় তিতাস ইউনিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর তার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন হাসপাতালের মালিক মো. এমরানুল হক ওরফে আশেক এমরান। পরে রত্নার শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আশিক এমরান তাকে জানান রত্নার গর্ভে দুই সন্তান রয়েছে। ডা. জাহিদ এসে রত্মার সিজারিয়ান অপারেশন করবেন। বিকাল ৪টার দিকে আশিক এমরান ও হাসপাতালের নার্স নাছরিন আক্তার রত্মাকে অপারেশন কক্ষে নিয়ে যান। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ডা. জাহিদ অপারেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে স্বজনদের জানান রত্মা সুস্থ আছেন। কিছুক্ষণ পর আশিক এমরান অপারেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে তাকে জানান, রত্মাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। এর কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক জাহিদ ও নার্স নাসরিন তার স্ত্রীকে মৃত অবস্থায় অপারেশন কক্ষ থেকে বের করেন। জামির মিয়া সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রীকে ভুল চিকিৎসা করে মেরে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, তিনি এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এদিকে গত শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে মৃতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্তের সময় তার পেটে একটি মৃত ছেলে সন্তান পাওয়া যায়। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ও ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত থাকা ডা. রানা নুরুস সামস বলেন, ভুল ইনজেকশন দেয়ায় রত্নার মৃতু্য হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে হাসপাতালের দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।