বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদ জালাল সরকারকে স্মরণ

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

কাপাসিয়া (গাজীপুর) সংবাদদাতা
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি শহীদ জালাল উদ্দিন সরকারের ১৬তম মৃতু্যবার্ষিকী ১৭ আগস্ট শনিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে মরহুমের পাবুর গ্রামের বাড়িতে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমির পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা পরিষদ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলালীগ, ছাত্রলীগ প্রমুখ। পরে উপজেলা আওয়ামী যবুলীগের আয়োজনে ১৫ আগস্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম ও ১৭ আগস্ট জালাল উদ্দিন সরকারের ১৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ সেলিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমান উলস্নাহ শেখ ইমুর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা থেকে স্কাইপে স্থানীয় সংসদ সদস্য বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট মাজাহারুল ইসলাম সেলিম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউর রহমান লস্কর মিঠ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম ভুইয়া, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মামুন প্রমুখ। এছাড়া মরহুমের বয়োবৃদ্ধ পিতা আমজাদ হোসেন সরকার আবেগাপস্নুত কণ্ঠে তার পুত্র হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির রায় দ্রম্নত কার্যকরের দাবি জানান। উলেস্নখ, তৎকালীন বিএনপি সরকারের সময়ে ২০০৩ সালের ১৭ আগস্ট বিএনপি নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসী প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়ির পাশে বলখেলা বাজারসংলগ্ন মাঠে জালাল উদ্দিন সরকারকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই সময় তার বড় ভাই মিলন সরকার বাদী হয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের ১১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর জালাল উদ্দিন সরকার হত্যা মামলায় ১১ জনের ফাঁসির রায় এবং একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।