তিন জেলায় ৩ খুন

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
স্বদেশ ডেস্ক ঝিনাইদহের মহেশপুরে স্বামীর হাতে স্ত্রী, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হয়েছেন। বরিশালের সদর উপজেলায় গোয়ালঘর থেকে এক শ্রমিকের গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিনিধি এবং সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর: ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের মহেশপুরে ফিরোজা খাতুন (৪৮) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্বামী আব্দুল কুদ্দুস। শনিবার গভীর রাতে উপজেলার নেপা ইউনিয়নের সেজিয়া গ্রামের উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল কুদ্দুস পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। রোববার সকালে আব্দুল কুদ্দুসকে আটক করেছে পুলিশ। মহেশপুর থানার ওসি রাশিদুল আলম জানান, কুদ্দুস প্রায়ই নেশা করে বাড়ি ফিরত। শনিবার গভীর রাতে নেশা করে বাড়ি ফিরলে স্ত্রীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। সকালে নিজেই প্রতিবেশীদের খবর দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ উপজেলার দত্তনগর-কুশাডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে আটক করে। ফিরোজার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পারিবারিক বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বড় ভাই ইসমাইল হোসেন (৩৬) খুন হয়েছেন। রোববার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতু্য হয়। শনিবার রাত ১২টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন ইসমাইল হোসেন। ইসমাইল ওই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ছোট ভাই ইসরাইল হোসেন (৩০) পরিবারের লোকজন নিয়ে পলাতক রয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান জানান, বড় ভাই ইসমাইলের সঙ্গে ছোট ভাই ইসরাইল হোসেনের স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। শনিবার রাতে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য পারিবারিক শালিস বৈঠকের আয়োজন করে। কিন্তু শালিস পক্ষপাতের অভিযোগ এনে ইসমাইলের সঙ্গে ইসরাইলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইসরাইল ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইসমাইল হোসেনকে আঘাত করেন। এতে ইসমাইল গুরুতর আহত হন। পরিবারের লোকজন তাকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে মারা যান ইসমাইল হোসেন। বরিশাল: বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের পশুরীকাঠি থেকে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০) নামে এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ৯টার দিকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় গোয়ালঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জাহাঙ্গীর ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশুরীকাঠি এলাকার বাসিন্দা। পদ্মা ব্রিক্সের ম্যানেজার বাচ্চু জানান, ব্রিক্সের পাশেই একটি গোয়ালঘরে সন্ধ্যার দিকে তাদের শ্রমিক জাহাঙ্গীরের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দিলে রাত ৯টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।