কাশিয়ানীতে দ্বিগুণ টাকায়ও মিলছে না বাসের টিকিট

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) সংবাদদাতা
পরিবার-প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে এবার কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ। শুক্রবার ঈদের ষষ্ঠ দিনেও কাশিয়ানীর বিভিন্ন বাস কাউন্টারে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এসব কাউন্টারে দ্বিগুণ টাকা দিয়েও যাত্রীরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত বাসের টিকিট। তাই যাত্রীদের কর্মস্থলে ফিরতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তবুও দুর্ভোগ, ভোগান্তি মাথায় নিয়েই কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাসের টিকিট কম, কিন্তু চাহিদা বেশি। সবাইকে এত টিকিট দেয়া সম্ভব না। টিকিট যা ছিল, তা ইতোমধ্যে বিক্রি করা হয়ে গেছে। তবে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, মূলত বেশি মুনাফার আশায় নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকিট মজুদ রেখেছেন বাস কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা। তাই বাধ্য হয়ে অনেকে বেশি দামে টিকিট কিনে কর্মস্থলে যাচ্ছেন। আবার অনেককে টিকিট না পেয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যে ফিরতে দেখা যায়। কেউ কেউ টিকিট না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। রোববার সকালে সরেজমিনে ভাটিয়াপাড়া মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। রাজধানীগামী বাসের টিকিট সংগ্রহের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ সারি। দ্বিগুণ টাকা দিয়েও মিলছে না বাসের টিকিট। ফলে যে যেভাবে পারছে গন্তব্যে ছুটছেন। ভাটিয়াপাড়া মোড়ে টিকিটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা গার্মেন্টস শ্রমিক গোলাপী বেগম বলেন, একঘণ্টা ধরে টিকিটের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। ৩৫০ টাকার টিকিট ৬শ' টাকা চাচ্ছে তাও একেবারে পিছনে সিট। শুধু গোলাপী বেগমই নয়, গন্তব্যে ফেরা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন অনেক মানুষই। সকলেরই একটি সমস্যা বাসের টিকিট না পাওয়া। টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেসের কাউন্টারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, 'ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের কারণে আগেই বাসের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। টিকিটের চাহিদা অনেক কিন্তু আমরা সেটা পূরণ করতে পারছি না।' কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, 'যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এবং সড়কপথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। তবে কেউ কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করলে এবং অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।'