বাড়বকুন্ড-সাহেবানি সড়কের বেহাল দশা

সবুজ শর্মা শাকিল সীতাকুন্ড দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ছোট-বড় খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার বাড়বকুন্ড-সাহেবানি সড়ক। সড়কের অধিকাংশ জায়গায় ছোট-বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে জলাশয়ের আকার ধারণ করেছে। সড়কটির বেহাল দশায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী, পথচারীসহ এলাকার মানুষকে। ৪ গ্রামের ১০টি পাড়ার প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি পুরোপুরি নষ্ট হওয়ায় চলাচলে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। বাড়বকুন্ডের মধ্যম মাহমুদাবাদ গ্রামের রঙ্গীপাড়া, সাহাপাড়া, বাহারিয়ারপাড়া, জেলেপাড়া, তেলীপাড়া, ভূঁইয়াপাড়া, মিয়াজীপাড়া, ভূলাইপাড়া, জুদারপাড়া সোমপাড়া ও অলিনগর গ্রামের মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করে। এলাকার সব শ্রেণিপেশার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র মাধ্যম এই সাহেবানি সড়ক। পূর্ব দিক থেকে পশ্চিমে যাওয়া প্রায় ৪ কিলোমিটার পিচঢালা এই সড়কটির মাঝেমধ্যে বড় বড় গর্ত, সড়কের অধিকাংশ জায়গা পাশ ভেঙে সমতল ভূমিতে মিশে গেছে। সড়কের অধিকাংশ গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। সোমপাড়া ও মিয়াজিপাড়া এলাকার কিছু অংশে রাস্তার ওপর হাঁটু পানি জমে থাকতে দেখা যায়। এ ছাড়া রঙ্গীপাড়া, সাহাপাড়া, তেলী বাজারসহ বেশ কিছু ভাঙা অংশে পানি ও গবাদিপশুর মল জমে থাকার দৃশ্যও দেখা যায়। এখানকার সাগরতীরে নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠায় এই সড়ক দিয়ে ধারণক্ষমতার বেশি ভারী যান চলাচল করছে। সড়কটি যথাযথ সংস্কারের অভাবে এরই মধ্যে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা জহুরুল আলম ও স্থানীয় সমাজকর্মী নুরুল কবির জানান, সড়কটিতে গত ২ বছর কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। নিম্নমানের কংক্রিট ও বিটুমিন ব্যবহারের কারণে সড়কটির বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাড়বকুন্ড ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাদাকাত উলস্নাহ মিয়াজী বলেন, সড়কটি এলজিইডির আওতাধীন। এলজিইডির প্রকৌশলীরা সড়ক পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রকল্পও জমা দিয়েছেন। আশা করা যায় আগামী বাজেটেই রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করা সম্ভব হবে