দুই জেলায় ৩ লাশ

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
দুই জেলায় সোমবার তিন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এক, মাধবপুরে এক ও রাজশাহীর পুঠিয়ায় একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিনিধি এবং সংবাদদাতার পাঠানো খবর : আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর সড়কের পার্শ্ববর্তী ধানগাঙ হাওর থেকে অজ্ঞাত নারীর (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা এই মরদেহ উদ্ধার করে। নারীর গায়ে মাটিভর্তি একটি বস্তা বাঁধা ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জের নির্জন হাওর এলাকায় সোমবার দুপুরে এক মহিলার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয় জনগণ। এটি অনেক বিকৃত ছিল। ওই মহিলার পেটে একটি মাটিভর্তি বস্তা বাঁধা ছিল। ধারণা করা হয় ওই মহিলাকে খুন করার পর পানির নিচে লাশ ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশকে খবর দিলে আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন তরফদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে ওসি মোশারফ হোসেন তরফদার জানান, ধারণা করা হচ্ছে ওই মহিলাকে খুন করার পর এখানে কেউ ডুবিয়ে দিয়েছে অথবা অন্য কোনো স্থান থেকে পানিতে ভেসে এখানে এসেছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া বিস্তারিত বলা সম্ভব হচ্ছে না। হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া চা বাগানের বস্তিতে ভায়রার দায়ের কোপে সুজিত রেলী (৫৫) নামে এক চা শ্রমিক খুন হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় পালিয়েছে খুনি হেলাল রেলী। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াপাড়া বস্তির বাসিন্দা সুজিত রেলী ও হেলাল রেলী সম্পর্কে একে অপরের ভায়রা। তাদের স্ত্রীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে ঝগড়া-বিবাদ চলে আসাছিল। এর জের ধরে সোমবার সকালে সুজিত ও হেলাল রেলীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে চা গাছের কুড়ি উত্তোলনে ব্যবহৃত দা দিয়ে সুজিতের মাথায় কোপ দেয় হেলাল। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃতু্য হয়। আহত হয় হেলাল রেলীও। পরে আহত অবস্থায় সে পালিয়ে যায়। রাজশাহী : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর থানার দক্ষিণ জামিরা গ্রামে ছুরিকাঘাতে সোহেল রানা (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল ওই গ্রামের আনসার মির্জার ছেলে। সোহেল একজন মুদি দোকানদার। বেলপুকুর থানার ওসি শেখ গোলাম মোস্তফা জানান, ধানের চারা নিয়ে সোহেল রানার (৩২) সঙ্গে প্রতিবেশী সাইফুলের ছেলে সাগরের (২৬) বাগ্‌বিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে সাইফুল (৬০) ও তার ছেলে সাগরসহ কয়েকজন প্রথমে সোহেলের বাড়িতে হামলা করে। পরে দোকানে গিয়ে সোহেল রানার পেটে ছুরিকাঘাত করে।