বাঞ্ছারামপুরে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করায় দৈনিক মানবকণ্ঠের বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি মো. ফারুক আহমেদকে (২৮) মারধর করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার প্রতাবগঞ্জ বাজারে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগের ক্যাডাররা তাকে বেদম মারধর করে তার সঙ্গে থাকা ক্যামেরার ল্যান্স ভেঙে ফেলে। আহত সাংবাদিক ফারুক আহমেদ বাঞ্ছারামপুর পৌর এলাকার নতুন হাটি গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে। এ ঘটনায় আহত ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিনসহ তিনজনের নাম উলেস্নখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার বিকেলে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। আহত সাংবাদিক ফারুক আহমেদ জানান, গত সোমবার ভোর রাতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামের মমতাজ বেগমের বাড়ি থেকে ৬৫ ক্যান বিয়ারসহ মাদক ব্যবসায়ী মমতাজ বেগম (৩৫), বাতেন মিয়া (৩৭), মো. কালন মিয়া (৩৬), মো. জামাল (২৮) ও রাসেল আহমেদকে (২৪) আটক করেনর্ যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। আটক রাসেল আহমেদ রূপসদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দৈনিক মানবকণ্ঠে 'বাঞ্ছারামপুর রূপসদী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাসেলর্ যাব-১৪-এর হাতে আটক' শিরোনামে একটি রিপোর্ট ছাপা হওয়ায় ছাত্রলীগের ক্যাডাররা তাকে মারধর করে ক্যামেরার ল্যান্স ভেঙে ফেলে। এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।