কলাপাড়ায় ইলিশ বেচাকেনার ধুম

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আড়ৎপট্টিতে ইলিশ বেচাকেনার ধুম চলছে -যাযাদি
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা সাগরে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পরায় কলাপাড়ার মৎস্য আড়ৎগুলোতে ইলিশ বেচা-কেনার ধুম পড়েছে। আড়তের শ্রমিকরা কাজ করছেন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় উপজেলার অন্তত ২০ হাজারের বেশি জেলে ইলিশ শিকারে সাগরে যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ট্রলার বোঝাই ইলিশ আসতে শুরু করেছে আড়তগুলোতে। প্রায় সব আড়তের সামনেই স্তুপাকারে রাখা হয়েছে ইলিশ। আড়তে আসতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা। দামও নাগালের মধ্যে। বেচা-কেনা বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। রাতভর ট্রাক আসছে আর ইলিশ বোঝাই করে চলে যাচ্ছে গন্তব্যে। পাইকারী বাজারে ৫০০ থেকে ৯০০ গ্রামের প্রতি মন ইলিশ বেচা-কেনা হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকায়। ১ কেজি থেকে ১৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ হাজার থেকে ৩৯ হাজার টাকা। তবে খুচরা বাজারে এক কেজির উপরে ইলিশ ৪০ হাজার টাকা মন করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ খুচরা বাজারে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরো বেশি ইলিশ পাওয়া যাবে বলে জানান জেলেরা। এতে দাম আরও কমার সম্ভাবনা আছে। উপজেলার দুইশর বেশি আড়তে কাজ করছে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক। ট্রলার থেকে ইলিশ নামিয়ে আড়তের সামনে স্তুপাকার করে রাখা এবং পাইকারদের ট্রাকে তুলে দেয়ায় তাদের কাজ। দিনমজুর এসব শ্রমিকরাও নিয়মিত ইলিশ আসায় দৈনিক আয় ভালো হওয়ায় বেশ খুশি। মহিপুরের ব্যবসায়ী মো. নাসির উদ্দিন জানান, ইলিশ থাকলে সবার ব্যবসায় চাঙ্গাভাব থাকে, ইলিশ না থাকলে ব্যবসায় মন্দাভাব দেখা দেয়। জেলে রজ্জব আলী জানান, যেভাবে ইলিশ ধরা পড়ছে, তাতে সবাই খুশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সবাই লাভের মুখ দেখবে। মহিপুরের মিথুন আড়ৎ এর মালিক মো. মোস্তফা মাষ্টার জানান, ব্যবসায়ীরা ভয় করছে জলদসু্য এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার। এ দুটি বিষয় থেকে রক্ষা পেলে মাছের সাথে সংশ্লিষ্টরা সকলেই লাভ নিয়ে ঘরে ফিরবে।