মেহেরপুরে ৫৭ বছর পর রেণু উৎপাদন

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মেহেরপুর প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠার ৫৭ বছর পর রেণু পোনা উৎপাদন শুরু হয়েছে মেহেরপুর মৎস্যবীজ খামারে। পুকুরে পানি না থাকা ও অতিরিক্ত আয়রনসহ বিভিন্ন কারণে এতদিন রেণু উৎপাদন সম্ভব হয়নি। অত্যাধুনিক আয়রন রিমোভাল পস্নান্ট স্থাপন ও পুকুর সংস্কারের মাধ্যমে শুরু হয়েছে মাছের পোনা উৎপাদন। দক্ষ জনবল পেলে এখান থেকেই জেলার সিংহভাগ রেণু পোনার চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানান খমার ব্যবস্থাপক। মেহেরপুরের মৎস্য খামার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬২ সালে। জেলার মাছচাষিদের রেণুপোনার চাহিদা মেটাতে সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় খামারটি। কিন্তু নানা কারণে সম্ভব হচ্ছিল না রেণুপোনা উৎপাদন। সম্প্রতি ব্রম্নডব্যাংক প্রকল্পের আওতায় পুকুরগুলো সংস্কার করে পলিথিন ব্যবহারের মাধ্যমে পানি ধারণক্ষমতা বাড়ানো হয়। একটি ছোট আকারের আয়রন রিমোভালপস্নান্ট বসিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত ৫৬ কেজি রুই, মৃগেল, কাতলা মাছের রেণু উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। মেহেরপুর সরকারি খামারে রেণু উৎপাদন শুরু হওয়ায় খুশি মৎস্যচাষিরা। মৎসচাষি খামশেদ আলী জানান, মেহেরপুরে মাছের পোনা না পাওয়ায় যশোর বা খুলনা থেকে মাছের পোনা কিনে আনতে বেশি খরচ হয়। পাশাপাশি অনেক পোনা মারা যায়। খামার ব্যবস্থাপক ড. আসাদুজ্জামান জানান, ষাটের দশকে গড়ে উঠা খামারটিতে পানি ধারণক্ষমতা না থাকায় ও অতিরিক্ত আয়রনের কারণে এতদিন রেণু উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি। এবার পলিথিনের মাধ্যমে পানির ধারণক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে প্রতিবছরই পোনা উৎপাদন হবে।