সাপাহারে করলা চাষে স্বাবলম্বী

প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিক্রির উদ্দেশ্যে করলা নিয়ে নওগাঁর সাপাহার বাজারে এসেছেন কৃষকরা - যাযাদি
সাপাহার (নওগাঁ) সংবাদদাতা নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার সবজি করলা এখন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হওয়ায় লাভের মুখ দেখছে উপজেলার করলাচাষিরা। করলা বিক্রি করে অনেকেই স্বাবলম্বী। আমের পরে সবজি চাষেও এবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চিনবে সাপাহারকে, এমনটাই মনে করছেন উপজেলার অভিজ্ঞ কৃষকগণ। কয়েক বছর আগে থেকেই এই উপজেলার চাষিরা করলা সবজি চাষে উৎসাহিত হয়ে তাদের হাইব্রিড আমবাগানে গাছের ফাঁকে ফাঁকে সাথি ফসল হিসেবে করলা চাষ করে স্থানীয় বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে সংসারের খরচ মিটিয়ে কিছু টাকা লাভ করত। পরবর্তীতে সাপাহারে করলা চাষের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কিছু দিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান হতে কাঁচা তরিতরকারির ব্যবসায়ীরা ছুটে আসেন সাপাহারে। পরবর্তীতে উপজেলার করলাচাষিদের সেন্টার হিসেবে সাপাহার-তিলনা পাকা সড়কের বাহাপুর মোড়ে গড়ে ওঠে মৌসুমি প্রতিদিনের জন্য ৩/৪ঘণ্টার এক অস্থায়ী বাজার। ভোর হলেই বিভিন্ন এলাকার করলাচাষিরা তাদের উৎপাদিত করলা নিয়ে চলে আসেন এই বাজারে এবং ক্রেতারা তাদের কাছে বিভিন্ন দামে করলা ক্রয় করে মিনি ট্রাকযোগে সকাল ১০টার মধ্যেই রওনা হয়ে যায় নিজ গন্তব্যে। বর্তমানে প্রতি মণ করলা হাজার টাকা থেকে ১২শ' টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে ওই অস্থায়ী বাজারে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হয়তো করলার বাজার কিছুটা বৃদ্ধি পাবে বলেও অনেক করলাচাষি মনে করছেন। করলার অস্থায়ী এই বাজারে এসে ঢাকার কাওরান বাজারের আনোয়ার হোসেন নামের এক সবজি ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, সাপাহারের করলা সবজির গুণগত মান ভালো ও এখান থেকে করলা কিনে লাভ ভালো হওয়ায় তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে এখানকার করলা রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজারে সরবরাহ করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো. আতাউর রহমান সেলিমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কয়েক বছর ধরে করলা চাষ এ উপজেলায় চাষিদের মাঝে এক নীরব বিপস্নব ঘটিয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে উপজেলার অনেকেই এখন দেশি, হাইব্রিড, সোনামুখীসহ বিভিন্ন জাতের করলা চাষাবাদ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ বছর উপজেলায় ১শ'৫০ থেকে ২শ' বিঘা জমিতে করলা চাষাবাদ হয়েছে।