শেরপুরে মহারশি নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

শেরপুর প্রতিনিধি
ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর গোমড়া থেকে ব্যাপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন -যাযাদি
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সামাজিক বন ধ্বংস করে মহারশি নদী থেকে বেপরোয়াভাবে চলছে বালু উত্তোলন। বালু উত্তোলনকারীরা নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছে। দফায় দফায় এ বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ার রিপোর্ট প্রকাশ এবং প্রশাসনের মোবাইল কোর্টও এ বালু উত্তোলন থামাতে পারছে না। লিজ এরিয়ার বাইরে থেকে বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলনের ফলে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। বন বিভাগের গোমড়া সামাজিক বনের ১০ একর জমির উডলট বাগান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গোমড়া উডলড বাগানের সভাপতি সন্ধ্যাকুড়া গ্রামের ইউপি সদস্য শাহজাহানসহ অন্য সদস্যরা জানান, বালু উত্তোলনকারীরা হলদিগ্রাম ও গোমড়া মৌজায় ৩০-৩৫টি শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে। লিজ এরিয়ার বাইরে থেকে বালু উত্তোলনের ফলে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। এতে গোমড়া সামাজিক বনের প্রায় ১০ একর জমির উডলট বাগান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গোমড়া, সন্ধ্যাকুড়া গ্রামের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ গ্রামের ২ হাজার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। সন্ধ্যাকুড়া বিট কর্মকর্তা রাশেদ ইবনে সিরাজ বলেন, বালু উত্তোলনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে ইজারাদার লিজ এরিয়ার বাইরে থেকে বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন করছে। এতে সামাজিক বন ধ্বংস ও নদীভাঙনের পাশাপাশি প্রাণ-বৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। বালু মহালের ইজারাদার আসাদুজ্জামান স্বপন বলেন, লিজ এরিয়ার বাইরে থেকে কোনো বালু উত্তোলন করা হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল হাসান বলেন, সামাজিক বন ধ্বংস করে অতিরিক্ত এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিতে রয়েছে। যে কোনো সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।