বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল পাঁচ স্কুলছাত্রী

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
তিন জেলায় শনিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল পাঁচ স্কুলছাত্রী। সিরাজগঞ্জ সদরে তিন, বরগুনার পাথরঘাটায় এক ও লক্ষ্ণীপুরের রামগঞ্জে একজন ছাত্রী বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ সদরে এক দিনে তিন স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান। পরে বাল্যবিবাহগুলো বন্ধ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক কনের বাবা কারাদন্ডসহ অন্যদের অর্থদন্ড দেয়া হয়। শুক্রবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদরের খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের দিয়াড় পাচিল গ্রামের ছাত্রী মোছা. ফাতেমা খাতুন (১৬), সয়দাবাদ ইউনিয়নের মূলীবাড়ী গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মোছা. নুপুর খাতুন (১৪) ও শিয়ালকোল ইউনিয়নের শিলন্দা পূর্বপাড়া গ্রামে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মোছা. সনি খাতুনের (১৩) বাল্যবিবাহগুলো বন্ধ করা হয়। পাথরঘাটা (বরগুনা) : বরগুনার পাথরঘাটায় প্রশাসনকে খবর দিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করালেন শাহজালাল নামে এক ইউপি সদস্য। শুক্রবার রাতে এ বিয়ে বন্ধ করান তিনি। পরে রাত ১১টার দিকে বাল্যবিবাহ দেয়ার অপরাধে বরের বাবাকে ২০ হাজার টাকা ও কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। কাঠালতলী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য শাহজালাল বলেন, পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামের দুলাল কাজীর মেয়ে মারিয়ার (১২) সঙ্গে পাথরঘাটা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার মুন্সির ছেলে মো. হেলালের (১৮) সঙ্গে বিয়ে চলছিল এমন তথ্য পেয়ে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে সত্যতা পেয়ে প্রথমে বিয়ে বন্ধের জন্য অনুরোধ করি। অনুরোধ না শোনায় ইউএনও স্যারকে খবর দিলে তিনি বর ও কনেসহ অভিভাবকদের নিয়ে তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আমার কার্যালয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্যের সত্যতা পাওয়ায় বরের বাবাকে ২০ হাজার টাকা ও কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বর ও কনের বয়স কম হওয়ায় তাদের কাছ থেকে মুচলেক নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এবং বয়স না হওয়া পর্যন্ত একসঙ্গে থাকতে পারবে না বলেও হুঁশিয়ারি করে দেয়া হয়। রামগঞ্জ (লক্ষ্ণীপুর): লক্ষ্ণীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার সান্দানপুর গ্রামে শুক্রবার বিকালে নবম শ্রেণির ছাত্রী আছমা আক্তারের বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও মোসাম্মদ মুনতাসিম জাহান। এ সময় বাল্যবিবাহের প্রস্তুতির দায়ে ছাত্রীর মা রানু বেগমকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।