নবজাতকের জন্য দুটি গাছ লাগাচ্ছেন বাদশা মিয়া

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক নবজাতকের পরিবারে সঙ্গে বাদশা মিয়া -যাযাদি
আগে একটি করে গাছ লাগিয়ে শুরু করেছিলাম। কিন্তু জায়গা থাকায় গাছের সংখ্যা একটি করে বাড়িয়ে দিলাম। ছোট শিশুদের সাথে গাছও বেড়ে উঠবে। পর্যায়ক্রমে সবুজে ভরা গাছে ছেয়ে যাবে পুরো এলাকা। সে এক অন্যরকম অনুভূতি। কথাগুলো টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান বাদশা মিয়ার। তার ইউপি এলাকায় নতুন শিশুর জন্ম হলে দুটি করে গাছ লাগাচ্ছেন তিনি। চলতি মাসের প্রথম দিন 'একটি শিশু, একটি গাছ' স্স্নোগানে ব্যক্তি উদ্যোগে ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচিটি হাতে নিলেও ১৫ দিন ধরে ভূমিষ্ট হওয়া প্রতি নবজাতকের জন্য দুটি করে গাছ লাগাচ্ছেন। গত ২৩ দিনে তিনি ১৭ নবজাতকের জন্য ৩৪টি গাছ লাগিয়েছেন। এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০১৬ সালের ২৮ মে ইউপি নির্বাচনে বাদশা মিয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দায়িত্ব নেন ৭ আগস্ট। তিনি জানান, দায়িত্ব নেয়ার পর মানুষ মনে রাখার মতো তেমন কোনো কাজ করতে পারেননি। পুনরায় চেয়ারম্যান না হতে পারলেও মানুষ তাকে কীভাবে মনে রাখবে এজন্য পদ্ধতি খোঁজেন। পরে চলতি আগস্ট মাসের প্রথম দিন থেকে শুরু করেন কর্মসূচিটি। এর আগে তিনি ইউপির বিভিন্ন গ্রামে অনুষ্ঠিত সভা কিংবা উঠান বৈঠকে তার উদ্যোগের কথা প্রচার করেন। তিনি খবর পান ইউনিয়নের তেঘুরি গ্রামের দিপু সরকারের স্ত্রী দিপ্তী সরকার একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। গত ১ আগস্ট তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে তিন নবজাতক অংকন সরকার, অর্পণ সরকার ও অরিত্রি সরকারের নামে বাড়ির পাশে তিনটি আম গাছের চাড়া বুনেন। দিপ্তী বলেন, 'বাবুরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছও বড় হবে। গাছে আম আসবে, বড় হয়ে ওরা খাবে, সঙ্গে আমরাও। সত্যিই ভালো লাগছে।' বাদশা মিয়া বলেন, 'কাজটি করার মাধ্যমে আমার এলাকার জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা হচ্ছে। আমি বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শনে গিয়েও বাচ্চা হলে আমাকে জানানোর কথা বলছি। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারছি। আমি চাই কাজটির মাধ্যমে প্রতিটি নবজাতক গাছের সবুজ শ্যামল ছায়ায় বেড়ে উঠুক। মানুষ আমাকে মনে রাখুক।'