খাগড়াছড়িকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে :কংজরী চৌধুরী

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রিপন সরকার, খাগড়াছড়ি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেছেন, পাহাড় আর ঝরনা-ছড়াবেষ্টিত সবুজ শ্যামলে ঘেরা পর্যটনখ্যাত গিরিকন্যা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাকে সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত আধুনিক মডেল পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ির সরকারি বাসবভনে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে এ পর্যন্ত সম্পন্ন করা কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা টানা তিন বারের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে সরকারের অন্যান্য দপ্তরের পাশাপাশি খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ তৃণমূলে সড়ক যোগাযোগসহ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি জেলা পরিষদের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে জেলা পরিষদের মাধ্যমে বেকার যুবক-যুবতীসহ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলার হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি, কম্পিউটার, সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়েছে। জেলার দরিদ্র পরিবারের কেউ চিকিৎসার জন্য এবং কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য আবেদন করলে সাহায্য করা হয়ে থাকে। শহরে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, জেলাবাসীর চিত্তবিনোদনের জন্য জেলা সদরের জিরোমাইল এলাকায় ২২ একর ভূমির ওপর হর্টিকালচার পার্ক নির্মাণ, স্কুল, কলেজ, বিদু্যৎ, সুপেয় পানীয় জলের ব্যবস্থা, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থায় মহিলা মাদ্রাসা, দুর্গম পাহাড়ি এলাকার ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন উপজেলায় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় পাকা রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, মসজিদ, মন্দির, ক্যাং প্যাগোডা, মাদ্রাসা, নির্মাণ করেছি। অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে জানমাল রক্ষার্থে প্রতি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ার পর্বে জেলার বিভিন্ন উপজেলার রাস্তাঘাটগুলোর অবস্থা বেশ নাজুক ছিল। তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই সকল ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়। ইতোমধ্যে জেলার অনেক অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার মান ছিল খুবই নাজুক। হাসপাতাল ছিল কিন্তু ডাক্তার থাকত না, ফলে মানুষ চিকিৎসা নিতে এসে খুব কষ্ট পেত। তিনি সিভিল সার্জন ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সঙ্গে দফায় দফায় দেনদরবার করে জেলা সদরসহ সব উপজেলার হাসপাতালে ডাক্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দলীয় কর্মকান্ড কীভাবে পরিচালনা করেন জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, জনপ্রতিনিধিত্ব ক্ষণস্থায়ী। এ পদে আজ আছি কাল নাই, কারণ এ পদে থেকে সবার মন রক্ষা করা যায় না। একটু এদিক সেদিক হলেই জনসাধারণ ভুল বুঝে বসে। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। তাই তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৈনিক হিসেবে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছি। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে ভবিষ্যৎ ভাবনা কী জানতে চাইলে দৈনিক যায়যায়দিনকে জানান, জেলাবাসীকে বেকারমুক্ত মাদকমুক্ত, বাল্যবিবাহমুক্ত ও সন্ত্রাস নির্মূলসহ একটি সুখী- সমৃদ্ধশালী মডেল পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা এবং সরকারের এসডিজি বাস্থবায়নের লক্ষ্যে কাজ করাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য।