শুল্ক ফাঁকি :ঢুকছে ভারতীয় পণ্য

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বেনাপোল প্রতিনিধি বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বৈধ পথে পাসপোর্টযাত্রীদের মাধ্যমে প্রতিদিন ভারতীয় পন্যে সয়লাব হচ্ছে দেশে। প্রতিদিন এ পথে ভারত থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্তে নিয়োজিত এক শ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজসে এ পন্য নিয়ে আসছে বলে একাধিক অভিযোগে উঠেছে। স্থানীয়রা জানায়,এ পথে প্রতিদিন ভারতীয় ও এ দেশীয় কিছু লোক ভারত থেকে জুতা, স্যান্ডেল, কসমেটিক্স, ভাজা, বিস্কুট, দুধ, হরলিক্স, শাড়ি, থ্রিপিস সহ বিভিন্ন প্রকার পন্য নিয়ে বেনাপোল, নাভারণ, ঝিকরগাছা, নওয়াপাড়া, খুলনা, ফলতলা যশোর এলাকার বাজারগুলোতে বিক্রি করে থাকে। এসব পাসপোর্ট যাত্রীরা বিজিনেস ভিসা নিয়ে প্রতিদিন ভারতীয় পণ্য নিয়ে এসে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। সূত্র মতে এসব পাসপোর্ট যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বেনাপোল ইমিগ্রেশন এর কাজ শেষে কাস্টমস ও বিজিবি চেকপোস্ট পার হয়ে আসলেও সাধারন যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এক শ্রেনীর দালালরা কাস্টমস ও বিজিবির সাথে অলিখিত চুক্তির মাধ্যমে এসব পন্য বের করছে বলে সূত্রটি দাবি করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেনাপোল চেকপোষ্টের একজন বলেন, আমি নিজে সিভিল পোশাকের একজনকে কয়েক দফায় পাসপোর্টযাত্রীর জন্য টাকা দিয়েছি। এ দিকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে দেখা গেছে, ভারত থেকে আসা ভারতীয় যাত্রীরা বড় বড় ল্যাগেজ নিয়ে বিজিবি চেকপোস্টের সামনে দিয়ে বের হয়ে এলেও তাদের দাঁড় করিয়ে ল্যাগেজ চেক করতে দেখা যায়নি। অথচ সাধারণ ভ্রমণ ও চিকিৎসা নিয়ে আসা যাত্রীরা এখানে হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাদের ব্যাগ বিজিবি চেক করার পর আবার কাউকে কাউকে ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশের নওয়াপাড়ার পাসপোর্টযাত্রী তানিয়া খাতুন রিতু ভারত থেকে গত ১০ তারিখে এসে এ প্রতিবদেকের কাছে বলেন, আমি বেড়াতে যেয়ে কিছু তেল, স্যাম্পু, ও জুতা নিয়ে ফেরার সময় কাস্টমস থেকে বের হয়ে এলেও প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে বিজিবি ব্যাগ তলস্নাশি করে ক্যাম্পে যেতে বলেন। আমি উপায় অন্তর না দেখে ক্যাম্পে গেলে আমার এ সামান্য কেনাকাটা দেখে ক্যাম্প থেকে চলে যেতে বলেন। একজন বিজিবি সদস্য বলেন, আপনাকে আবার কেন পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, আমার সামনে দিয়ে বড় বড় ল্যাগেজ বের হলেও তাদের ব্যাগ তলস্নাশি করতে দেখা যায়নি। বেনাপোল কাস্টমস সুপার কামরুজ্জামান বলেন যদি কেউ অল্প করে মালামাল আনে তা আমরা ছেড়ে দিয়ে থাকি ল্যাগেজ সুবিধা অনুযায়ী। কিন্তু শুনছি এসব রুল না মেনে পাসপোর্ট যাত্রীদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং তাদের পণ্যও রেখে দিচ্ছে কোন ডিএম স্স্নিপ না দিয়ে। এমতাবস্থায় স্থানীয়রা মনে করেন ভারত থেকে এসব পণ্য আসায় একদিকে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে দেশীয় শিল্প-কলকারখানা বন্ধের উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।