জোৎস্নার খোঁজে হাজারও পর্যটক টাঙ্গুয়া হাওরে

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর হাওর ঘুরতে আসা পর্যটকদের নৌকা -যাযাদি
বাবরুল হাসান বাবলু, তাহিরপুর জোৎস্নার খোঁজে হাজারও পর্যটক হাওরে, মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা জোৎস্নার ছায়া পড়েনি তার জলে। টাঙ্গুয়া হাওরে পূর্ণিমা দেখতে শুক্রবার তাহিরপুরে পদচারণা পরে পঁচা সহস্রাধিক পর্যটকের। প্রত্যেকেরই উদ্দেশ্য হাওরে পূর্ণিমা দেখা। কিন্তু বাধ সাধে মেঘ। আকাশে ঘন-কালো মেঘ থাকায় দিন ও রাতে প্রচুর বৃষ্টি হয়। মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রাতের চন্দ্রাবতীর আর দেখা মিলে না। তাই ঝলসানো রুটি না খেয়ে দিনমান বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কিছুটা হতাশ হয়ে হাওর থেকে ফিরেন পর্যটক। শুধু সেপ্টেম্বর মাসের পূর্ণিমাতে নয়, বিগত প্রতি মাসের পূর্ণিমার দিনগুলোতেও হাওরে পর্যটকদের ভিড় থাকে। একাধিক পর্যটক জানিয়েছেন, হাওরে জোৎস্ন্না দেখার জন্য তারা গত আগস্ট মাসের পূর্ণিমাতেও হাওরে এসেছেন, কিন্তু মেঘলা আকাশ থাকায় তখনো চাঁদের দেখা পাননি। তাহিরপুর উপজেলা সদর উজান তাহিরপুর গ্রামের আরশাদ আলী বলেন, ছোট সময় ভাদ্রের পূর্ণিমাটা খুব উপভোগ করতাম। পরিষ্কার আকাশে ভাদ্রের চন্দনিটা খুব সুন্দর। জলে ছায়া পড়লে জল ঝিকমিক করে। শীতকালে কুয়াশা থাকায় সে সময় আলোটা এত ছড়ায় না বলেও তিনি জানান। বাঙ্গাল ট্রাভেলার্সের সদস্য তাহমিনা খাতুন বলেন, অনেকেই হাওরে আসেন জোৎস্না দেখার জন্য। শুক্রবার রাতে আকাশ মেঘে ঢাকা থাকার কারণে চাঁদের আলোটা পাওয়া যায়নি। কান্ট্রি টু্যরিজম অ্যাডমিন সাদেকুর রহমান বাবলু বলেন, গত মাসের পূর্ণিমাতেও হাওরে এসেছি, এবারও এলাম, কিন্তু মেঘের কারণে জোৎস্নার দেখা পেলাম না। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, শহরে বিদু্যতের আলোয় চাঁদের আলোটা ঠিক বুঝা যায় না। তাই প্রকৃতির এই আলোটা দেখতে পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে প্রতি মাসেই টাঙ্গুয়া হাওরে প্রচুর লোকজন আসেন।