বিদ্যালয়ের জীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

আদমদীঘি (বগুড়া) সংবাদদাতা
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ২৯ নম্বর কেশরতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করছেন শিক্ষকরা। যেকোনো সময় ভবন ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বিকল্প কোনো ভবন না থাকায় বাধ্য হয়েই ওই ভবনে ক্লাস চালিয়ে যেতে হচ্ছে বলে জানান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কেশরতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ভবনটি ১৯৯০ সালে সাধারণ শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় টিনসেড একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৪৫ জন শিক্ষার্থী এবং ছয়জন শিক্ষক আছেন। সরেজমিন দেখা যায়, ভবনটির টিনের ছাউনিতে ফুটো হওয়ার কারণে বৃষ্টি হলে পানি পড়ে। ক্লাসরুমে নেই পর্যাপ্ত আলো ও ফ্যানের ব্যবস্থা। সেমিনার, লাইব্রেরি কক্ষ থাকলেও এতে নেই চেয়ার-টেবিল, ফ্যান ও লাইট। দেয়াল ফেটে যাওয়া ও দরজা-জানালা ভেঙে যাওয়ায় বৃষ্টির পানিতে ভিজে যায় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। যেকোনো ধসে পড়ে শিশুদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা সুলতানা জানান, বিদ্যালয়টি বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ভয়ে ভয়ে ক্লাস নিতে হয় তাদের। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১৪৫ জন শিক্ষার্থী দুই শিফটে ক্লাস করে। শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি শিক্ষকদের কক্ষটিও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনটি নতুনভাবে করা না হলে যেকোনো সময় জানমালের ক্ষতির কারণ হতে পারে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সামছুল ইসলাম দেওয়ান জানান, কেশরতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।