কোম্পানীগঞ্জে মিলন হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মিলন হত্যা মামলায় পুলিশের এসআই আকরাম শেখসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পলাতক ২১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। সোমবার বিকালে জেলার ২নং আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান এ আদেশ দেন। কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা গ্রামের কিশোর মিলন ঘটনার দিন বিদেশ থেকে বাবার পাঠানো টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রির জন্য উপজেলা সদরে যাওয়ার পথে চরকাঁকড়া ব্যাপারী স্কুলের মসজিদের সামনে ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন ও সহযোগী মিজানুর রহমান তার পরিচয় জানতে চান। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তারা মিলনের সঙ্গে থাকা মুঠোফোন ও নগদ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে পুলিশে দেয়। পরে পুলিশ টেকেরবাজারে বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে তাকে ছেড়ে দেয়। সেখানে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মিলনের মায়ের দায়ের করা মামলায় ২০১৫ সালের জুলাই মাসের প্রথম দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের ওসি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মামলায় তদন্তে ভিডিওচিত্র দেখে হত্যার ঘটনায় শনাক্ত হওয়া ২৭ ব্যক্তি ও চার পুলিশ সদস্যসহ ৩২ আসামির সবাইকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন। মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে গত ৯ মার্চ সিআইডির কুমিলস্না ও নোয়াখালী অঞ্চলের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহম্মদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন সদস্য জামাল উদ্দিন, তার সহযোগী মিজানুর রহমান মানিকসহ ২৯ জনকে অভিযুক্ত করা হলেও কোনো পুলিশ সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এ বিষয়ে রোববার শুনানি শেষে বিচারক হত্যার সময় উপস্থিত থাকা কোম্পানীগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই আকরাম শেখকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এর মধ্যে একজনের মৃতু্য হওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। বাদী পক্ষের আইনজীবী কল্পনা রানী দাস জানান, অবশেষে মামলাটির বিচারের পথ সুগম হলো। আদালতের নির্দেশে মামলার অভিযোগ থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের তৎকালীন এসআই আকরাম শেখকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।