রোহিঙ্গাসহ ৯ জন আটক

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
আইনশৃঙ্গলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গাসহ ৯ জন আটক করেছে। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতার পাঠানো খবর: কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়ার হত্যা মামলার আসামিসহ ৬ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করে। উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবির থেকে একটি অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তলসহ ছব্বির আহমদ (২৫) নামে এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক ছব্বির বালুখালী-২ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের দিলমোহাম্মদের ছেলে। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল মনসুর জানান, অপরাধ কর্মকান্ড সংঘটিত করার জন্য কয়েকজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী জড়ো হয়েছেন, এমন গোপন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও ছব্বির আহম্মদ নামে এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে বিদেশি পিস্তলসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া তাকে অস্ত্রের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান ওসি। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুতুপালং ক্যাম্পে রাতে অভিযান চালিয়ে নবী হোসেন হত্যা মামলার মূল আসামি দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মৃত মো. আলীর ছেলে মো সৈয়দকে (৩৫) একটি কিরিচসহ আটক করা হয়। অপরদিকে, উখিয়ায় কুতুপালং মধুরছড়া ক্যাম্প পুলিশ রোববার রাতে অপহরণকারী রোহিঙ্গা ইমাম হোসেনের বাড়ি হতে হাত পা বাঁধা অবস্থায় অপহূত রোহিঙ্গা আইয়ুব আলীকে (৪৫) উদ্ধার করা হয়েছে। সে কুতুপালং ক্যাম্পের ৬নং বস্নকের হোসেন আলীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ অপহরণকারী বালুখালী ক্যাম্পের আমির উদ্দিন (৬০), ওমর মিয়া (৫০), মো আইয়ুব (৩৫) ও মো আরব (৩০) নামে চার রোহিঙ্গাকে আটক করে। উখিয়া থানার উপপরিদর্শক মোরশেদ আলম জানান, আইয়ুব আলীর কাছ থেকে অপহরণকারীরা ১ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করলে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় আইয়ুব আলীকে উদ্ধার ও চার রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে আইয়ুব আলী বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন বলে জানায় উখিয়া থানার উপ-অফিসার ইনচার্জ আবুল মনসুর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ১ হাজার ৪৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ জুলহাস মুন্সী (৩০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বিজিবির সদস্যরা। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার নলগরিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক জুলহাস মুন্সী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ফুলবাড়িয়া গ্রামের জাকির মুন্সির ছেলে। এ সময় একটি ভারতীয় পালসার মোটর সাইকেলও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা): চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গাঁজাগাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার হাসাদাহ মাঠ থেকে ৯টি গাঁজাগাছসহ তাকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আনোয়ারা (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ২ হাজার পিস ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাত দলের নেতা শীর্ষ ডাকাত মো. আলীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত ১টায় উপজেলার উত্তর হাজিগাঁও এলাকার পাহাড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মো. আলী বারখাইন ইউনিয়নের উত্তর হাজীগাঁও এলাকার মৃত জালাল আহমদের পুত্র।  আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল মাহমুদ জানান, গ্রেপ্তারকৃত মো. আলী উপজেলার একজন শীর্ষ ডাকাত দলের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। মো. আলীকে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পেকুয়া (কক্সবাজার): ক্সবাজারের চকরিয়ায় ইয়াবার লেনদেনের সাড়ে ৩ লাখ টাকা, ১৯৫ পিস ইয়াবা ও ৩টি মোবাইল সেটসহ ধরা পড়লেন পুলিশ কনস্টেবেল থেকে চাকরিচু্যত মেহেদী হাসান ও তার সহযোগী ফয়েজ আহমদকে আটক করেছে পুলিশ। ২০১৭ সালে এসবি পুলিশের কনস্টেবেল পদ থেকে চাকরিচু্যত হন মেহেদী হাসান। শুক্রবার মধ্যরাতে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মেহেদী হাসান কক্সবাজার থেকে মাদক নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল। চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেন, শনিবার সকালে মেহেদীর স্ত্রী চকরিয়া থানায় এসে স্বামীকে শনাক্ত করেন এবং চাকরিচু্যত বলে জানান। চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।