কালিহাতীর পদ্মবিলে দর্শনার্থীদের ভিড়

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

মু. জোবায়েদ মলিস্নক বুলবুল, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দৃষ্টিনন্দন পদ্মবিল -যাযাদি
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের পোষণা গ্রামের পদ্মবিল দিন দিন দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠছে। দর্শনার্থীদের কাছে এর কদর বাড়ছে, বাড়ছে ভিড়ও। স্থানীয়রা জানান, কালিহাতীর এই পদ্মবিলে সারাবছর পানি থাকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা বিলটি বর্ষা মৌসুমে যেন তার যৌবন ফিরে পায়। সাদা শাপলা ফুলের সঙ্গে ফুটে লাল-সাদা পদ্ম। তবে আশ্বিন-ভাদ্র মাস বিলটি পদ্মফুলের রাজধানীতে পরিণত হয়। সারা বিলজুড়ে শত-সহস্র পদ্ম ফুটে পরিবেশকে এক মহামায়ায় ভরিয়ে তুলে। মাঝে মাঝে সবুজ কলমি লতা বিলটিকে করে তুলে আরও অপরূপ। পড়ন্ত বিকাল এবং গোঁধুলী সন্ধ্যায় যা দর্শনার্থীদের নিয়ে যেতে পারে ভিন্ন এক জগতে। বিলটির চারদিকে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। দূর থেকে দেখলে সবুজ বনও মনে হতে পারে। শীত মৌসুমে অতিথি পাখির কিচির-মিচির বাড়িয়ে দেয় সৌন্দর্যের ষোলআনা। অতিথি পাখি শিকারিদের আনাগোনাও বাড়ে সমানতালে। বিলে যাওয়ার জন্য রয়েছে ভাড়ায় চালিত 'কোশা নৌকা'। টাঙ্গাইলের উপ-শহর এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে বলস্না রোডে বালিআটা মোড়ের আগেই রয়েছে সেকান্দরের মোড়, ওখান থেকে চারান রোড়ে দুই কিলোমিটার গেলেই মিলবে বিলের দেখা। এ ছাড়া বালিয়াটা মোড় পাড় হয়ে সামনে এগুলে বিলের দেখা পাওয়া যাবে। এলেঙ্গা থেকে দূরত্ব মাত্র ৭ কিমি; আর টাঙ্গাইল শহর থেকে ১০ কিমি.। ইঞ্জিনচালিত রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা বা মোটরসাইকেলে খুব সহজেই ভ্রমণ করা যায় এই পদ্মবিল। স্থানীয় লোকদের আন্তরিকতা মুগ্ধ করে যেকোনো দর্শনার্থীকে। চা, কফি, বাদাম, চিপস্‌, ফুচকাসহ হালকা খাবারও সংগ্রহ করা যায় হকারদের কাছ থেকে। কোকডহরা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, পদ্মবিলের প্রাকৃতিক দৃশ্য মনোমুগ্ধকর। বিলে নৌকায় বেড়ানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে প্রচারের অভাবে এখনো ততটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি পর্যটন সম্ভাবনার এই বিলটি। তিনি মনে করেন, সঠিক নজর এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে এই পদ্মবিল হতে পারে টাঙ্গাইলের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।