পদ্মায় বিলীন চাঁদপুরের রাজরাজেশ্বর

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরে বাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে -যাযাদি
চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে ফের পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পদ্মার প্রবল স্রোতে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনে ইউনিয়ন পরিষদের শেষ ঘরটি এবং মোজাফফরিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এর আগে গেল মাসে ২৭ আগস্টের ভাঙনে রাজরাজেশ্বর মোজাফ্‌ফরিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়সহ শতাধিক বসতঘর বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ভয়ে ওই সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ শতাধিক বসতঘর অনত্র সরিয়ে নেয়া হয়। স্থানীয়রা জানায়, জোয়ার শেষে ভাটা শুরুর সময়টাতেই ভাঙন শুরু হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যায় ভাঙনে বিস্তর এলাকার ভিটেমাটি ও ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে গেছে। তারা বলছেন, আমরা কোনও ত্রাণ চাই না। আমরা চাই ভাঙন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। এলাকার ভাঙন ঠেকাতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তারা। রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী জানান, উজান থেকে প্রবল বেগে পানি চাঁদপুর হয়ে নদী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হওয়ায় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চর এলাকায় মেঘনা ও পদ্মা নদীর মিলনস্থলে প্রচন্ড ঢেউ এবং ঘূর্ণিস্রোত সৃষ্টি হয়। যার কারণে নদী আবারো বর্ষায় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে ঢালীর বাজার, দেওয়ান বাজার, লগ্মীমারা ও বন্ধুকসী বাজার এলাকায় নদী ভাঙনে ইতোমধ্যে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্কুল-মাদ্রাসা পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ওই এলাকার নদীর তীরবর্তী বাকি অংশগুলোও ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে, তাই আমরা ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছি। আমরা আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছি। তাদের যতটুকু সহযোগিতা তা করার জন্য চেষ্টা করব। তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন বলে জানান। এ বিষয়ে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে আমাদের কোনো বরাদ্দ নেই। এ কারণে আমরা সেখানে কোনো কাজ করতে পারছি না। তবে ভাঙন প্রতিরোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত করা হয়েছে। \হযদি সেখানে কোনো প্রকার বরাদ্দ আসে ভাঙন কাজ করা হবে।