পাবনায় বর, কাজীসহ ৫ জনের জেল-জরিমানা

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনায় বাল্যবিবাহ বন্ধ ও বিয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫ জনকে জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অন্যদিকে কন্যার পরিবার দরিদ্র হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে তাকে দেয়া হচ্ছে নতুন বাড়ি। আর কন্যা পাচ্ছে সরকারি খরচে পড়ালেখার সুযোগ। পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের খয়েরবাগান এলাকায় শুক্রবার রাতে মাদরাসাপড়ুয়া সপ্তর শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাল্যবিবাহ দেয়া হচ্ছে- এমন খবরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে সদর উপজেলা পুলিশ ও বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এ সময় বর নাইম হোসেন (২৪), তার বাবা ও তিন ভগ্নিপতিকে কারাদন্ড এবং কাজিকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে। পাবনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বাল্যবিবাহ বন্ধের এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাল্যবিবাহ কার্যক্রম বন্ধ করে ছেলে, ছেলের বাবা, তিন ভগ্নিপতি ও কাজিকে আটক করা হয়। পাবনা সদর ইউএনও জয়নাল আবেদীন জানান, স্থানীয়দের দেয়া গোপন তথ্যে জানতে পেরে পুলিশের সহযোগিতায় খয়ের বাগান এলাকায় গিয়ে একটি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বরসহ চারজনকে কারাদন্ড ও কাজিকে অর্থদন্ড দেয়া হয়। ইউএনও জয়নাল আবেদীন জানান, মেয়ের বাবা নিজের ভুল এবং দরিদ্রতার কথা স্বীকার করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা মেয়েটির শিক্ষার সব দায়িত্ব নিয়েছি। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে তাকে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার কথাও বলা হয়েছে।