একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে শেবাচিমের ফরেনসিক বিভাগ

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বরিশাল অফিস দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের পাঠদান থেকে শুরু করে ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের কার্যক্রম, সবই করে থাকেন এই একজন চিকিৎসক। ফলে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মামলা নিষ্পত্তিতেও দেরি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে একজন অধ্যাপক, একজন সহযোগী অধ্যাপক, দুইজন সহকারী অধ্যাপক, তিনজন প্রভাষক ও একজন মেডিকেল অফিসারসহ আটজনের পদ রয়েছে। তবে বর্তমানে আছেন মাত্র একজন প্রভাষক। এই প্রভাষকই কলেজের শিক্ষার্থীদের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়ার কাজ করছেন। মাঝে মধ্যে পরীক্ষা নেয়ার জন্য অন্য বিভাগের শিক্ষকরা তাকে সহায়তা করেন। এর বাইরে এ বিভাগে আদালত থেকে পাঠানো বিভিন্ন মামলায় নানা রকমের পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের কাজও করতে হয়। একজন চিকিৎসকের পক্ষে এতগুলো কাজ একসঙ্গে করা কঠিন হয়ে যায়। অন্যদিকে সেই চিকিৎসক যদি আদালতে সাক্ষ্য দিতে বা ছুটিতে যান, তাহলে পড়তে হয় আরও বিড়ম্বনায়। হাসপাতালের শিক্ষক ও চিকিৎসক নেতারা বলেন, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসকদের বাইরে প্র্যাকটিসের কোনো সুযোগ থাকে না। তার ওপর বিভাগের দায়িত্বরতদের ওপর নানারকম সামাজিক চাপও থাকে। নিরাপত্তাজনিত একটি বিষয়ও থাকে। সাক্ষ্য দিতে আদালতেও যেতে হয়। কিন্তু সেই হিসাবে আলাদা কোনো সুযোগ-সুবিধা তারা পান না। সার্বিক দিক বিবেচেনা করেই হয়তো এ বিষয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। যদি কর্মরত চিকিৎসকদের উলেস্নখযোগ্য পরিমাণে সম্মানী দেয়া হয় এবং চাকরির বয়সসীমা বাড়িয়ে ৬৫ বছর করা হয় তবে এই বিভাগে চিকিৎসক সংকট অনেকাংশেই কমে যাবে। এ বিষয় শেবামেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, বরিশালে এমনিতেই চিকিৎসকরা থাকতে চান না। এ ছাড়া ফরেনসিক মেডিসিনসহ বেসিক সাবজেক্টগুলোতে চিকিৎসকরা কম ঝুঁকছেন। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ মাকসেমুল হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নেয়া হবে।