সড়কে মা-মেয়েসহ নিহত ৭

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
স্বদেশ ডেস্ক সড়ক দুর্ঘটনায় চার জেলায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। বরগুনার বেতাগীতে বাস খাদে পড়ে মা-মেয়ে, বাস ট্রাক ও কভার্ডভ্যান চাপায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার ও দিনাজপুরে অপর ৫ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আমাদের স্টাফ রিপোর্টার, প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রেরিত খবর : বেতাগী (বরগুনা) : বরগুনায় বেতাগীতে বাস খাদে পড়ে মা- মেয়ের মৃতু্য হয়েছে। এ ঘটনায় ২০ বাসযাত্রী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বরগুনা-বেতাগী মহাসড়কের বেতাগী উপজেলার সোনার বাংলা নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অজ্ঞাত মেয়ে শিশু (৫) ও এক নারী (৩২) নিহত হয়েছে। নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- নুরুল ইসলাম (৫৫), সোহাগী (৩০), লাবণী (১৮), রিতা (২৬), অন্তরা (১২), বৃষ্টি (৩) ও হৃদয় (১)। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামের শরীফ চৌধুরীর ছেলে রাজীব চৌধুরী (৩৮) ও গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার উত্তর হাইলপুর গ্রামের আব্দুল জলিল সরকারের ছেলে দোলন সরকার (৩৬)। নিহতরা বনবিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে। চকরিয়া (কক্সবাজার) :চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের কলাতলি এলাকায় কক্সবাজারমুখী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মো. আসিফ (২৩) ট্রলি চালক ও মামুনর রশিদ (২১) নামের দু'ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আসিফ পেকুয়া উপজেলার উত্তর মেহেরনামা গ্রামের নুরুল আবছারের ছেলে এবং অপর নিহত মামুনর রশিদ একই উপজেলার তেলিয়াকাটা এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে। চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) :দাওয়াত খেয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো টংকোর। ঘাতক বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন। এ ঘটনায় একজন রিকশাভ্যান আরোহী ও শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ভটভটির চালক গুরুতর আহত হয়েছে। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় সৈয়দপুর থেকে দশমাইলগামী একটি দ্রম্নতগামী বিআরটিসি বাস (ঢাকা মেট্টো চ-৮২৯২) রানীরবন্দরের বাহাদুরবাজারে একটি রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশাভ্যানটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং আরোহী উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের গছাহার গ্রামের শাহ্‌পাড়ার মৃত আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (৪০) গুরুতর আহত হয়। গাড়িটি পালিয়ে যাওয়ার সময় সুইহারী বাজারে একটি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ভটভটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে পথচারী জগদীশ চন্দ্র রায় ওরফে টংকো (৬০) বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এবং ভটভটির চালক উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের রানীপুর গ্রামের প্রধানপাড়ার মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো. মোকছেদুল ইসলাম (২৬) গুরুতর আহত হয়।