সুযোগ পেয়েও মায়ের কথায় রাশিয়ায় যাননি আবরার
প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
ঢাকা মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছিলেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও চান্স পেয়েছিলেন তিনি। রাশিয়া গিয়ে পারমাণবিক নিয়ে গবেষণার সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু মায়ের আপত্তি, যারা পারমাণবিক নিয়ে কাজ করে তাদের ক্যান্সার হয় তাই মায়ের অনুমতি না পেয়ে বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলেন। ফাহাদের শোকার্ত মা রোকেয়া খাতুন আহাজারি করে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ছেলেটা ঢাকা মেডিকেল, ঢাবি আর বুয়েটে চান্স পেয়েছিল। সব বিসর্জন দিয়ে ভর্তি হয় বুয়েটে ইঞ্জিনিয়ার হবে বলে। আজ ছেলেটা লাশ। তাকে মেডিকেলে পড়তে বলেছিলাম, সে পড়ে নাই; ছেলেটা আজ মেডিকেলের মর্গে।
নিহত আবরার ফাহাদ কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ির পেছনের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ব্র্যাককর্মী বরকত উলস্নাহ-রোকেয়া দম্পতির বড় ছেলে। গ্রামের বাড়ি কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বরকত উলস্নাহর ছেলে বড় ছেলে আবরার ফাহাদ ২০১৫ সালে কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ পস্নাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন ঢাকা নটরডেম কলেজে। সেখান থেকে ২০১৭ সালে এইচএসসি পরীক্ষাতেও গোল্ডেন এ পস্নাসসহ উত্তীর্ণ হন। পরে বুয়েটের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস বিভাগে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। ফাহাদ সেখানে শেরে বাংলা হলের ১০১১ নং কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক স্বপন বলেন, ছেলেটি খুব ভালো এবং ওকে কোনো দিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে দেখিনি। কুষ্টিয়া থেকে এসএসসি পাস করার পরই ঢাকায় পড়তে চলে যায় সে।