মন্ডলভাগ বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

লোহাগড়া (নড়াইল) সংবাদদাতা
১৯৫০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ১৬ বছরে দুইবার মধুমতি নদী গ্রাস করেছে বিদ্যালয় ভবন ও ঘর। এতে করে কমেছে শিক্ষার্থীর হার। বর্তমানে টিনের ঘরে গরমে নাভিশ্বাস অবস্থা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। রয়েছে প্রয়োজনীয় কক্ষের অভাব। প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক কম থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এ চিত্র নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মন্ডলভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। শিক্ষক, অভিভাবক ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ এলাকাবাসীর দাবি, বিদ্যালয়ে শিক্ষক বাড়াতে হবে এবং ভবন তৈরি করতে হবে। তাহলে প্রাণ ফিরে আসবে বিদ্যালয়টির। শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানান, ১৯৭৩ সালে সরকারি হওয়া ওই বিদ্যালয়ে ২০০২ সালে অন্তত সাড়ে তিনশ' শিক্ষার্থী ছিল। বর্তমানে শিক্ষার্থী মাত্র ৬৩ জন। ২০০৩ সালে বিদ্যালয় ভবন মধুমতি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর একটি টিনের ঘরে চলছিল শিক্ষা কার্যক্রম। সেটিও ২০০৭ সালে নদীগর্ভে চলে যায়। এরপর কখনো গাছতলায়, কখনো মসজিদের মক্তবে শিক্ষা কার্যক্রম চলে আসছিল। ২০১০ সালে চার কক্ষের একটি টিনের ঘর তৈরি করা হয়। সেখানে চলছে বর্তমান শিক্ষা কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকা তিনটি গ্রাম নিয়ে। এগুলো হলো চরখড়গদিয়া, চরগোপালপুর ও মন্ডলভাগ গ্রাম। চরখড়গদিয়া ও চরগোপালপুর গ্রাম নদীতে বিলীন, চরাঞ্চলের এই বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকা এবং ভবনের অভাবে শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় শিক্ষার্থী দিন দিন কমেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে ১৭ জন, প্রথম শ্রেণিতে ৮ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৬ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ১৩ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ১০ জন ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৯ জন শিক্ষার্থীসহ মোট শিক্ষার্থী ৬৩ জন। বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষক আছেন তিন জন। প্রধান শিক্ষক শ্রীপতি কুমার বিশ্বাস এবং সহকারী শিক্ষক আবু ওসমান গনি ও কুলছুম বেগম। তারা বলেন, বিদ্যালয়ে একসঙ্গে চারটি শ্রেণির ক্লাস নিতে হয়। শিক্ষক তিন জন। প্রতি শিক্ষককে অন্তত আটটি ক্লাস নিতে হয়। আবার শিক্ষকদের আছে নানা প্রশিক্ষণ, অফিসিয়াল কার্যক্রম এবং নিতে হয় ছুটি। শিশু শ্রেণির জন্য শিক্ষক দেয়া হলে এবং ভবন তৈরি হলে আবার প্রাণ ফিরে আসবে বিদ্যালয়টিতে। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার বর্মন বলেন, 'ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সামনের নিয়োগ থেকে শিশু শ্রেণির শিক্ষক দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।'