সরকারি সহায়তার চাল পৌঁছেনি সীতাকুন্ডে

নিষেধাজ্ঞায় বেকার ৫ হাজার জেলে

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুন্ড ইলিশের প্রজনন মৌসুমের কারণে সারাদেশের মতো সীতাকুন্ডে ২২ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধের কারনে বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ৫ হাজার জেলে। সরকারিভাবে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় জাল সেলাই এবং বোট মেরামতের মাধ্যমে বেকার সময় পার করছেন তারা। অন্যদিকে ইলিশ ধরা বন্ধকালীন সরকার ঘোষিত চাল সহায়তা এখনো বিতরণ করা হয়নি সীতাকুন্ডের জেলেদের মাঝে। এছাড়া গড়ে তোলা হয়নি জেলেদের জন্য বিকল্প কোন কর্মসংস্থান। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। জেলেদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, ইলিশের চলতি মৌসুমে বঙ্গোপসাগরের সীতাকুন্ড ও সন্দ্বীপ চ্যানেলে বেশ কিছুদিন ইলিশ ধরা পড়লেও আশানুরূপ দাম পাননি এখানকার জেলেরা। ফলে চাহিদার দ্বিগুণ মাছ ধরা পড়লেও আয়ের পরিমাণ ছিল অল্প। এর মধ্যে ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর টানা ২২ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। এসময়ে জেলেদের জন্য বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় অভাব, অনটনে বেকার সময় পার করছেন প্রায় ৫ হাজার জেলে পরিবারের ২৫ হাজার লোকজন। সরেজমিন সীতাকুন্ডের কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুন্ড ও সলিমপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলেপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেরা সাগর পাড়ে বসে কেউ জাল বুনছেন, কেউ বোট মেরামত করছেন। অনেকেই দলবেঁধে জাল সেলাই করতেও দেখা গেছে। তাদের মাছ ধরা বোটগুলো সারি সারি করে বাঁধা রয়েছে সাগর তীরে। কর্মব্যস্ত জেলাপাড়াগুলো অনেকটা একেবারে নিরবে রয়েছে। নদীর তীরে বসে অনেকটা অলস সময় পার করছেন জেলেরা। কুমিরা জেলে পাড়ার যদু গোপাল জলদাস বলেন, 'সরকারের নির্দেশে আমরা সাগরে মাছ মারতে যাচ্ছি না। তাই এ সময়ে আমরা সম্পূর্ণ বেকার, আমাদের আর কোন আয়ের পথ নেই। মাছ ধরা বন্ধকালীন প্রতি পরিবারের জন্য ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তাও এখনো দেওয়া হয়নি আমাদের। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় জানান,সাগরে মাছ ধরা বন্ধকালীন জেলেদের যে চাল সহায়তা দেওয়ার কথা তা এখনো এসে পৌঁছেনি। আমাদের হাতে এসে পৌঁছলে তা দ্রম্নত জেলে পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে।