সনাতন পদ্ধতিতে পাটের দড়ি তৈরি করেন সাত্তার

প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) সংবাদদাতা
পাটকে বাংলাদেশের সোনালি আঁশ বলা হয়। আর এ পাট এক সময় যেমন প্রচুরহারে উৎপাদন হতো, তেমনি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো। কিন্তু বর্তমানে পাট দিয়ে তৈরি সামগ্রী তেমন দেখা যায় না। নাইলন ও পস্নাস্টিকের দড়ি ও অন্যান্য সামগ্রীর কারণে পাটের দড়ির চাহিদাও কমে আসছে। কিন্তু এখনো অনেকেই সনাতন পদ্ধতিতে পাট থেকে দড়িসহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করেন। তেমনি একজন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া চৌধুরীপাড়ার প্রবীণ দোকানি আব্দুস সাত্তার চৌধুরী। যিনি এখনো পাটপণ্য ব্যবহার করে থাকেন। তিনি বলেন, পাট থেকে তৈরি দড়ি দিয়ে সংসারের নানা কাজ করা হয়। তিনি বাজার থেকে পাট কিনে ট্যাকরাশ ও বলনা দিয়ে দড়ি তৈরি করেন। উপজেলার ফেঁপিড়া গ্রামের ষাটোর্ধ দুর্গাচরণ দাস জানান, আগে পাটের বস্তা, দড়ি ও রঙিন শিকা প্রচুর ব্যবহার হতো। খড়ের ঘরের ছাউনি তৈরির সময়ও পাটের তৈরি সুতলি বা দড়ির ব্যবহার ছিল প্রচুর। পাট ছাড়া ঘর মেরামতের কোন কাজ করা যেতনা। সচেতন মহল মনে করেন, সরকার পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। সেই সঙ্গে সব ক্ষেত্রে পাটের ব্যবহার বাড়ানো গেলে এক দিকে পাটের চাহিদাও বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে লাভবান হবে পাটচাষিরাও।