ঝিনাইদহে জেডিসি পরীক্ষার কেন্দ্রের মাঠে থইথই পানি

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে হরিনাকুন্ডু আলিম মাদরাসায় থইথই পানি -যাযাদি
জেডিসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২ নভেম্বর থেকে। সেই হিসেবে পরীক্ষার বাকি আর মাত্র ১২ দিন। ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিণাকুন্ডু আলিম মাদরাসা উপজেলার একমাত্র জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্র। এ কেন্দ্রে ৩৯০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এখানে গোটা বর্ষা মৌসুম জুড়ে হাঁটু পানি জমে থাকে। শিক্ষার্থীদের পানি পেরিয়ে ক্লাসে যেতে হয়। মাদরাসার মাঠের বেশিরভাগই পানি আর পানি। ভবনগুলোর বারান্দার নিচেই পানি। অনেক স্থানে জঙ্গল হয়ে গেছে। মাঠ দেখলে মনে হবে মাছ চাষের জন্য পুকুর খোড়া হয়েছে। পরীক্ষা সামনে রেখে শিক্ষকরা এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরীক্ষা কেন্দ্রের মাঠের পানি অপসারণের। মেশিন বসিয়ে পানি সরানোর কাজ করছেন তারা। শিক্ষকরা বলছেন, তারা বিভিন্ন দপ্তরে ছুটেছেন নিচু এই মাঠের মাটি ভরাটের জন্য। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। অনেকেই তাদের আশ্বস্ত করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষকরা নিজেদের উদ্যোগে মাটি দিয়ে যাতায়াতের পথ তৈরি করেছেন। অনেক সময় এই পথও চলে যায় পানির নিচে। মাদরাসার অধ্যক্ষ জামিরুল ইসলাম জানান, হরিণাকুন্ডু পৌরসভা ও শহর সংলগ্ন এলাকায় কোনো মাদরাসা ছিল না। তখন এলাকার কিছু মানুষের উদ্যোগে ১৯৯৫ সালে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৫ শতক জমি কিনে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমে দাখিল পর্যন্ত হলেও বর্তমানে আলিম পর্যন্ত পাঠদান করা হচ্ছে। ২০১০ সালে এ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়।এগুলো হচ্ছে জেডিসি, দাখিল ও কামিল। হরিণাকুন্ডু উপজেলায় এই পরীক্ষাগুলোর একটিই কেন্দ্র। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি কামরুল আবেদীন জানান, প্রতিষ্ঠার সময় উচু জায়গা না পাওয়ায় কিছুটা নিচু জায়গায় মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর আশপাশে বাড়িঘর করার সময় অন্যরা মাটি ভরাট করে নিজেদের জায়গা উঁচু করে নেয়। ফলে মাদ্রাসার জায়গা আরো নিচু হয়ে যায়। বছরের বেশিরভাগ সময় মাঠে পানি জমে থাকে। হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান, বিষয়টি তাকে কেউ জানাননি। দ্রম্নতই খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।