ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে লিখিত পরীক্ষা ও ডোপ টেস্ট

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

লক্ষ্ণীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্ণীপুর জেলা ছাত্রলীগের ১৫টি ইউনিটের মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ায় জেলা ছাত্রলীগ সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। অক্টোবর ও নভেম্বর মাসজুড়ে এ সম্মেলনগুলো অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় উজ্জীবত হয়েছে ছাত্রলীগ। নেতৃত্ব আসার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের পদচারণা বাড়িয়েছে। ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ ও মাকাসক্ত ঠেকাতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা ও ডোপ টেস্টে উর্ত্তীণ হতে হবে। ১৭ অক্টোবর কমলনগর উপজেলা ও হাজিরহাট উপকূল সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ২৩ জন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষা ও ডোপ টেস্টে অংশগ্রহণ করতে হয়েছে। তাদের ৫০ মার্কের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। সঙ্গে দুটি ইউনিটের ২৩ জন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট নেয়া হয়। লক্ষ্ণীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফ জানান, ছাত্রলীগে মেধাবী ও বঙ্গবন্ধুর আর্দশ লালন করে। দেশের ইতিহাস জানে এ ধরনের নেতৃত্ব নিশ্চিতের জন্য লিখিত পরীক্ষা। আর কোনো মাদকসেবী যেন নেতৃত্বে আসতে না পারে সে জন্য ডোপ টেস্ট নেয়া হচ্ছে। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন জানান, বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের এ পদক্ষেপের কারণে বর্তমান সময়ে যেভাবে মাদকাসক্তরা ছাত্র নেতৃত্বে আসার জন্য চেষ্টা করতে সেটা ব্যর্থ হবে। লক্ষ্ণীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য গাজী গিয়াস উদ্দিন জানান, সম্প্রতি বুয়েট ও জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় ছাত্রলীগের ভাবমূতি সংকট দেখা দেয়। লক্ষ্ণীপুর জেলা ছাত্রলীগ যেভাবে নেতৃত্ব নির্বাচন করছে এটা দৃষ্টান্তমূলক।