কুষ্টিয়ায় পানি কমলেও বেড়েছে দুর্ভোগ

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বন্যার পানি কমলেও বেড়েছে দুর্ভোগ। ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও কাদা-পানির মধ্যে বসবাস করছেন তারা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ি সংস্কারের পাশাপাশি কৃষিকাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন অনেক কৃষক। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের ৩৬টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে ১৫ হাজার পরিবার। প্রায় ৫ হাজার পরিবার কোমর ও হাঁটু পানির মধ্যে অবস্থান নেয়। চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ডিঙির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন পানিবন্দি মানুষ। এক সপ্তাহ ধরে বন্যার পানি কমতে থাকায় বন্যাকবলিত মানুষগুলো নতুন করে দুর্ভোগে পড়েন। এদিকে বন্যার পানি কমতে থাকায় পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল জানান, বন্যার পানি কমেছে। ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমেছে। তবে নতুন করে বন্যাকবলিত মানুষগুলোর দুর্ভোগ বেড়েছে। কাদা-পানির মধ্যে এখন তাদের বসবাস করতে হচ্ছে। ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কৃষি আবাদী জমি থেকে পানি নেমে চাষযোগ্য হলেও কৃষকরা নতুন করে কৃষি কাজে ব্যস্ত হবেন সে দিনের অপেক্ষায় রয়েছেন। চিলমারীর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ জানান, বন্যার পানি কমতে থাকায় কৃষিনির্ভর চিলমারীবাসী নতুন উদ্যমে কৃষি কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এবারের বন্যায় উঠতি ফসলসহ বাড়ি-ঘরের যে ক্ষতি হয়েছে সরকারি সহায়তা ছাড়া তা পূরণ করা সম্ভব নয়। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, এবারের বন্যায় রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী, ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের প্রায় ১২ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। অন্যান্য ক্ষতি হয়েছে ১০ লক্ষাধিক টাকার। বন্যার পানি কমতে থাকায় এখন মানুষের পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। সেজন্য মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। উলেস্নখ্য, এবারের বন্যায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের ৩৬টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়। বন্যাকবলিত ৪ ইউনিয়নের ক্ষতি হয় প্রায় পনেরশ' হেক্টর জমির মাসকলাইসহ বিভিন্ন ফসলের। এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সরকারি কৃষি প্রণোদনাসহ সব ধরনের সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন।