ঝালকাঠিতে সবজি চাষে স্বাবলম্বী নারীরা

প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ঝালকাঠি প্রতিনিধি ঝালকাঠির নবগ্রাম, গাভারামচন্দ্রপুর, পোনাবালিয়া, বাসন্ডা ও কীর্তিপাশা ইউনিয়নের ৩৬ গ্রামে কাঁদিতে সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন নারীরা। প্রায় ৪ হাজার নারী এ মৌসুমী কৃষি কাজে সচ্ছলতা অর্জন করেন। স্থানীয়ভাবে এসব সবজিকে বলা হয় লতা কৃষি। নারীদের এ পরিশ্রমে সহায়তা করছেন পুরুষরাও। শীতকালীন সবজি চাষের পাশাপাশি বছরের ১২ মাস উৎপাদিত মৌসুমী সবজি বিক্রি করে জীবন চলে কয়েকশ' চাষির। তবে কিছু যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নতের কারণে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন তারা। উৎপাদিত সবজি বাধ্য হয়ে বাড়িতে বসেই পাইকারদের কাছে কম মূল্যে বিক্রি করতে হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিওর সুদের জালে জড়িয়ে পড়ায় চাষিরা ব্যাংক ঋণ নিতে পারছেন না। শীতকালীন সবজি লাউ, কুমড়া, জালি, মুলা, শালগম, ফুলকপি, বরবটি, করলা, শিম, আলু, বোম্বাই মরিচ, কচু, পালং ও লালশাকসহ অনেক সবজি এসব গ্রামে চাষ হয়। বিষমুক্ত এসব সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ায় ধান আবাদ অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন চাষিরা। কাঁদিতে সবজির পাশাপাশি আখ, আমড়া, পেঁপে ও পেয়ারার চাষ করেও লাভবান হচ্ছেন তারা। ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক মিয়া বলেন, জেলার ৩৬ গ্রামের প্রায় ৪ হাজার নারী এ কৃষি কাজে প্রতি বছর সফল হয়ে থাকেন। তাই এ বছরও তারা সফল হবেন বলে আশা করছেন। কৃষি বিভাগ থেকে তাদের পরামর্শ এবং সহযোগিতা করা হয়।