ফুলপুরে কংশ নদীর ভাঙনে হুমকিতে বসতবাড়ি

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

শাহ্ নাফিউল্লাহ সৈকত, ফুলপুর
ফুলপুরের কংশ নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার Ñযাযাদি
ময়মনসিংহের ফুলপুরে কংশ নদীর ভাঙনে হুমকিতে নদী পাড়ের অধর্শত পরিবারের বসত বাড়ি। জানা যায়, শুকনো মৌসুমে কংশ নদীতে চর জেগে উঠলেও বষার্ মৌসুমে স্বরূপে আবিভূর্ত হয়। বৃষ্টির পানি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়। ফুলপুর সদর ইউনিয়নের ঠাকুরবাখাই বাজার সংলগ্ন কংশ পাড়ের মূল্যবান জমিসহ বাড়িঘর গুলোতে কয়েক বছর ধরে ব্যাপক ভাঙন চলছে। অসংখ্য পরিবার অন্যত্র সরে গেলেও অধর্শত পরিবার ঝঁুকি নিয়ে বসবাস করছেন। ঠাকুরবাখাই বাজার, ঈদগাহ মাঠ ও কমিউনিটি ক্লিনিকও ভাঙনে বিলীনের হুমকিতে। এখানে ভাঙন ঠেকাতে এলাকাবাসী নদীতে বঁাশের বঁাধ দিয়ে স্রোতের গতিপথ পরিবতের্নর চেষ্টা করেও সুফল পাচ্ছেন না। বঁাশতলা বাজার নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে এবার আশপাশ জমিসহ বঁাশতলা উচ্চবিদ্যালয় ও বঁাশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিলীন হতে যাচ্ছে। ভাঙনে ঠাকুরবাখাই গ্রামে প্রায় আধা কিলোমিটার পূবের্ ও বঁাশতলা গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণে নদী সরে এসেছে। এছাড়াও ভাঙন চলছে পূবর্বাখাই, পশ্চিমবাখাই, বাতিকুড়া গ্রামসহ সিংহেশ্বর ইউনিয়নের বনপাড়া ও পুরাপুটিয়া গ্রামের বিভিন্ন স্থানে। ভাঙন থেকে বঁাচতে এলাকাবাসীর দাবিতে এক বছর আগে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী একটি প্রস্তাবনা প্রস্তুত করে পানি উন্নয়ন বোডের্ প্রেরণ করে ছিলেন। আজও তার কোনো সুরাহা হয়নি। ঠাকুরবাখাই গ্রামের সুলতানের স্ত্রী সেলিনা আক্তার জানান, ৭৫ শতাংশ জায়গা নিয়ে তাদের বাড়ি ছিল। নদী ভাঙনে সব চলে গেছে। শ্বশুর ভাসুর সবাই অন্যত্র চলে গেছেন। পাশে ২ শতাংশ জায়গা কিনে ঘর করেছি। এখন ভাঙনের ভয়ে ঘরে ঘুমাতে না পেরে অন্যত্র থাকি। ফুলপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভাঙন রোধে এক বছর আগে তার সহায়তায় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারসহ উপজেলা নিবার্হী অফিসারের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোডের্ আবেদন পাঠানো হয়েছিল। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান খোকা জানান, বিগত সময়ে পানি উন্নয়ন বোডের্ক ফুলপুরে বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করে কোটি কোটি টাকার অপচয় করতে দেখেছি। অথচ এ জনগুরুত্বপূণর্ কাজটি করার বিষয়ে আগ্রহ দেখছি না।