মেধাবী মোশের্দার স্বপ্ন পূরণে বাধা দরিদ্র্যতা

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

পাবর্তীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
মেধাবী ছাত্রী মোশের্দা
শেষ পযর্ন্ত উচ্চশিক্ষার দ্বারপ্রান্ত থেকেই হয়তো ফিরে আসতে হবে পাবর্তীপুরের মেধাবী ছাত্রী মোশের্দা খাতুনকে। নিজ কঁুড়েঘরে কঁাদো কঁাদো কণ্ঠে এ শঙ্কার কথা জানাচ্ছিলেন তার বাবা মোফাজ্জল হোসেন (৬০)। এ সময় তার গাল বেয়ে অশ্রæ ঝরতে দেখা যায়। তিনি জানালেন, ‘৬ শতক বাস্তুভিটে ছাড়া আমার কোনো সম্পত্তি নেই। কষ্টের সংসারে বহুবার তার পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর মেয়ের কান্নাকাটির কারণে বাধ্য হয়ে এখনো তার পড়াশোনা চালু রেখেছি। তার ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে এবার বাড়ির একমাত্র পোষা গরু বিক্রি করে ১০ হাজার টাকায় তাকে রংপুরে একটি কোচিং সেন্টারে ভতির্ করে দিয়েছি।’ উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নের খেঁাড়াখাই ঘাটপাড়ার দিনমজুর পিতার একমাত্র মেয়ে মোশের্দা খাতুন (১৫)। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মোশের্দা খাতুন সবার ছোট। অভাব অনটনের কারণে বড় দুই ভাই মিলন (৩০) ও এজামুল (২২) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গÐি পেরুতে পারেনি। কিন্তু শিশুকাল থেকে অদম্য ইচ্ছা ও আন্তরিক চেষ্টায় মোশের্দা সাফল্যের সঙ্গে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ধাপ পেরিয়ে এখন ডাক্তার কিংবা প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তার স্বপ্ন পূরণের পথে বড় বাধা এখন দারিদ্র্যতা। মোশের্দা পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী। পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করে। এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাবর্তীপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে সে উত্তীণর্ হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে স্থানীয় রোস্তমনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে সে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করে। মোশের্দা খাতুন (১৫) বলেন, ‘আমি ডাক্তার কিংবা প্রকৌশলী হতে চাই। এজন্য সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি।’