তালোড়া সরকারি কলেজে ৫ শিক্ষকে চলছে পাঠদান

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

দুপচঁাচিয়া (বগুড়া) সংবাদদাতা
বগুড়ার দুপচঁাচিয়া উপজেলার তালোড়া সরকারি শাহ এয়তেবারিয়া কলেজে প্রভাষক, প্রদশর্ক ও স্টাফ সংকট রয়েছে। দীঘির্দন ধরে এ জনবল সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কাযর্ক্রম। খেঁাজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিণে তালোড়া রেলস্টেশনের উত্তরপাশ্বের্ ছায়াঘেরা মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এ কলেজ। অত্র কলেজে বাংলা বিষয়ে দুইজন শিক্ষকসহ ১৪টি বিষয়ে ১৫ জন ও অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ ১৭ জন শিক্ষকের স্থলে শিক্ষক রয়েছে মাত্র পঁাচজন। পিয়নের পদ আটটি, লাইব্রেরিয়ান একটি, অ্যাকাউনটেন্ট একটি, অফিস সহকারী একটি, শরীরচচার্ শিক্ষকের পদ একটি ও প্রদশের্কর চারটি পদ রয়েছে। এর মধ্যে অধ্যক্ষসহ ১২ জন শিক্ষকের পদ দীঘির্দন ধরে শূন্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, চারজন প্রদশর্ক, চারজন পিয়ন, একজন লাইব্রেরিয়ান, একজন অ্যাকাউনটেন্ট, একজন অফিস সহকারী ও একজন শরীরচচার্ শিক্ষকের পদও কয়েক বছর ধরে শূন্য রয়েছে। কলেজ কতৃর্পক্ষ সংশ্লিষ্ট ঊধ্বর্তন কতৃর্পক্ষ বরাবর এ বিষয়ে বারবার চাহিদাপত্র প্রেরণ করেও উক্ত পদসমূহে আজ পযর্ন্ত লোকবল নিয়োগ পায়নি। শুধুমাত্র বাংলা বিষয়ে দুইজন শিক্ষক ও ইংরেজি, পদাথর্ এবং রসায়ন বিষয়সহ পঁাচজন শিক্ষক রয়েছে। আর যেসব বিষয়ে শিক্ষক নেই সেগুলো হলো অথর্নীতি, পৌরনীতি, যুক্তিবিদ্যা, ইসলামের ইতিহাস, গণিত, জীববিদ্যা, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন এবং হিসাব বিজ্ঞান। এ কলেজে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে মোট ২৭৪ জন শিক্ষাথীর্ রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম বষের্ ১২৫ জন ও দ্বতীয় বষের্ ১৪৯ জন। অত্র কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার পাসের হার বিগত বছরগুলোতে সন্তোষজনক। এবারে পরীক্ষাথীর্র সংখ্যা ছিল ১৩১ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৮১ জন। কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বষের্র ছাত্রী সৈয়দা সাদিয়া আক্তার ও বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র রনি কুমার দাস জানায়, এ কলেজে পাঠদান ক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রচেষ্টা ভালো। কিন্তু দুঃখের বিষয় বেশিরভাগ বিষয়েই শিক্ষক না থাকায় ওইসব বিষয়সমূহে ক্লাস হয় না বললেই চলে। এতে করে তারা ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। কলেজের সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গাজী মাহমুদ হাসান জানান, তিনি এ কলেজে যোগদানের পূবর্ থেকেই অধ্যক্ষ, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে লোকবলের সংকট ছিল। যোগদানের পর থেকেই শূন্যপদে লোকবল আনার জন্য প্রতি মাসেই তিনি সংশ্লিষ্ট ঊধ্বর্তন কতৃর্পক্ষকে চাহিদাপত্র প্রেরণসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবগত করেছেন। সবোর্পরি অত্র কলেজের সব শিক্ষাথীর্র কথা চিন্তা করে দ্রæত শূন্যপদে শিক্ষকসহ অন্যান্য পদে লোকবল এ কলেজে প্রেরণ করে শিক্ষাথীের্দর পাঠদানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ঊধ্বর্তন কতৃর্পক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অধ্যক্ষ, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।