বেতাগীতে শিশু হত্যার ঘটনায় একজন আটক

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

বেতাগী (বরগুনা) সংবাদদাতা
বরগুনার বেতাগীতে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ। জানা যায়, বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের মাছূয়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ও ছোট মোকামিয়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের মেয়ে মোসা. তামিমা আক্তার বৃহস্পতিবার সকালে বাসা থেকে বের হয়ে স্কুলে যায়। বিকালে স্কুল ছুটি হলেও ফেরেনি তামিমা। বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কোথাও তার খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোকজন এলাকায় মাইকিংও করেন। পরে সন্ধ্যার দিকে বাড়ির অদূরে একটি পরিত্যক্ত পুকুরে স্থানীয়রা তার লাশ দেখে পরিবারের সদস্যদের জানান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। এ ঘটনায় শিশু তামিমার বাবা মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বেতাগী থানায় মামলা করেছেন। ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাবাদের জন্য মো. সাব্বির হোসেন (১৬) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিশুটির বাবা মো. শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে তামিমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন পিপিএম, বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজীব আহসান, বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবির ও মোকামিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম সুজন মলিস্নক উপস্থিত ছিলেন। জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।