বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীদের দুর্ভোগ

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের বেনাপোল চেকপোষ্টে ভারতগামী যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন -যাযাদি
দেশের গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম এলাকা বেনাপোল স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন দেশী-বিদেশী কয়েক হাজার যাত্রী ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করেন। কিন্তু এখানকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন তেমন একটা হয়নি। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে পাসপোর্ট যাত্রীদের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন রোগী, শিশু ও বয়স্ক যাত্রীরা। বৃহস্পতি ও শুক্রবার বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস অফিস থেকে দুই কিলোমিটার চলে যায় যাত্রীদের লাইন। অনেকে প্রকৃতির ডাকেও লাইন ছেড়ে বাথরুমে যেতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সম্প্রতি বেনাপোলে ইমিগ্রেশনে ডেস্কের সংখ্যা বাড়ানো হলেও কাজ চলছে ধীর গাতিতে। ভারতগামী যাত্রী খুলনার উর্মিলা বসু বলেন, অনেকবার ভারত যাতায়াত করেছেন। কিন্তু গত ছয় মাসে বেনাপোলের অবস্থা খুবই খারাপ। মানুষের সুবিধার কথা বলে ৪২ টাকা অতিরিক্ত ট্যাক্স নিলেও মানুষকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করানো হচ্ছে। একই জায়গা থেকে আসা শামিম আহম্মেদ বলেন, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সরকারি কোনো ট্যাক্স না থাকলেও ওখানে সুযোগ-সুবিধা অনেক ভালো। তারা যাত্রীদের সুবিধায় সেখানে বড় ছাউনির ব্যবস্থা করেছে। যেখানে কয়েক হাজার লোক দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। যশোরের আরজিনা বেগম জানান, ভারত থেকে আসার সময় কাস্টমস তাদের ব্যাগ দেখে ছেড়ে দেয়। আবার সেই একই ব্যাগ কাস্টমস থেকে বের হয়ে শুল্ক গোয়েন্দাদের দেখাতে হয়েছে। এরপর সেখান থেকে এসে বিজিবিকে দেখানোর পর তারা বিজিবি ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়। এসব করতে গিয়ে লেবার বিল বেশি দেয়া লাগে। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি মহসিন খান বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন ও সরকারি ছুটি এক দিন থাকায় যাত্রী সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবে ইমিগ্রেশনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। যাত্রীদের সেবা দেয়ার জন্য প্রতিটি ডেস্কের অফিসার তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ভিতর পলাতক বা কোনো ব্যক্তির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা তাও যাচাই করা হচ্ছে।