নাসিরনগরে চিকিৎসক সংকটে সেবা ব্যাহত

প্রকাশ | ১০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

মো. বাহারুল ইসলাম মোলস্না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কপেস্নক্সের অব্যবহৃত অপারশেন থিয়েটার -যাযাদি
প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় এবং কয়েকজন চিকিৎসক ডেপুটেশনে অন্যত্র চলে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৭ সালে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও বাড়েনি এর চিকিৎসা সেবা। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ২১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলে কাগজে কলমে আছে মাত্র ৮ জন চিকিৎসক। ১৩ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে এই হাসপাতালটিতে। আবার কাগজে কলমে ৮ জন চিকিৎসক থাকলেও এর মধ্যে ৪ জন চিকিৎসক ডেপুটেশনে অন্যত্র চলে গেছেন কয়েক বছর আগেই। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ মাত্র ৪জন চিকিৎসক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম ও যৌন) সহ ৪ জন চিকিৎসক ডেপুটেশনে (সংযুক্তির আদেশ) বছরের পর বছর ধরে অন্যত্র কর্মরত রয়েছেন। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সটিতে বর্তমানে জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া), জুনিয়র কনসালটেন্ট (স্যার্জিকেল), জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি অ্যান্ড অবস), জুনিয়র কনসালটেন্ট (ডেন্টাল), জুনিয়র কনসালটেন্ট (নাক কান গলা), জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), প্যাথলজিস্ট, রেডিওলজিস্টসহ অনেক চিকিৎসকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, ২০০৭ সালে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় কিন্তু এতে চিকিৎসাসেবার মান বাড়েনি। ভুক্তভোগীরা জানান, হাসপাতালে কোনো গাইনি চিকিৎসক না থাকায় মহিলা রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া হাসপাতালে নেই কোনো বস্নাড ব্যাংক। এক্স-রে মেশিন থাকলেও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) না থাকায় এক্সরে মেশিনটি ব্যবহার করা হয় না। \হহাসপাতালে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার (ওটি) ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকলেও অ্যানেসথেসিয়া ও সার্জারি চিকিৎসক না থাকায় সিজারিয়ান অপারেশনসহ বড় ধরনের অপারেশন বন্ধ রয়েছে। বছরের পর বছর ব্যবহৃত না হওয়ায় ও তালাবদ্ধ থাকায় হাসপাতালের প্রায় কোটি টাকা মূল্যের চিকিৎসার যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায় জানান, মাত্র ৪ জন চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সিভিল সার্জন ডা. শাহআলম জানান, আগামী এক মাসের মধ্যে চিকিৎসক সংকট দূর করা হবে।