আমনের দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাজশাহীর তানোরে আমন ধান কাটা শুরু -যাযাদি
আসাদুজ্জামান মিঠু, তানোর রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে পাকা ধানে ভরে হয়ে উঠেছে পুরো মাঠ। অগ্রহায়ণ মাস না পড়তেই বরেন্দ্র অঞ্চলজুড়ে আমন কাটা-মাড়াইয়ের মহা উৎসব শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্য বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। যদিও এর মধ্যে সরকার আমন ধানের দাম নির্ধারণ করেছে। চলতি মৌসুমে প্রতি মন আমন ধানের দাম ১০২০ টাকা ঘোষণা করেছে সরকার। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে লটারির মাধ্যমে এ দামে ধান ক্রয় করা হবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। সরকারের দাম নির্ধারণে আস্থা রাখতে পারছেন না বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা। বরেন্দ্রের কৃষকরা জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার একই দাম নির্ধারণ করলেও কৃষক সে সুফল একেবারে পাননি। ধানের বাজার পুরোটাই চলে গিয়েছিল সিন্ডিকেটের দখলে। যার কারণে বোরো ধান বিক্রি করে কৃষকরা উৎপাদন খরচই তুলতে পারেনি। এবারও সেই শঙ্কা করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭০ হাজার ২২৪ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও রাজশাহী অঞ্চলের রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমন চাষাবাদ হয়েছে আরও ৩ লক্ষ্য ৫০ হাজার হেক্টরের উপরে। তানোর উপজেলার প্রকাশনগর গ্রামের কৃষক সাহিন জানান, চলতি মৌসুমে ৪০ বিঘা জমিতে আমন চাষাবাদ করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে তার ১৮ থেকে ২০ বিঘা ধান কাটা শেষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় তার খেতে ধান অন্য সব বছরের চেয়ে বেশ ভালো আছে। বাম্পার ফলনও হবে আশা তার। কিন্ত বাজারে ধানের দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সরকার বোরো ধানের মূল্য ঠিক করে দিয়েছিল। তার প্রভাব বাজারে পড়েনি। তাই সরকারে দাম ঘোষণা করা হলেও কৃষক খুশি হতে পারছে না। রাজশাহীর তানোর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সমসের আলী জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বরেন্দ্র অঞ্চলে আমন ধানের মাথা ভালোই আছে। বাম্পার ফলন হবে আশা করা হচ্ছে। তবে দাম নিয়ে তিনি বলেন, সরকারে ধানের দাম নির্ধারণ করাই কৃষকদের জন্য সুফল বয়ে আনবে। কৃষকদের একটু ধৈর্য ধরে ধান বিক্রি করার পরামর্শ দেন তিনি।