সিডরের ১২ বছর

দুঃসহ স্মৃতি তাড়া করে উপকূলবাসীকে

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

রাজাপুর (ঝালকাঠি) সংবাদদাতা
প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরের ১২ বছর পূর্তি আজ। নানা প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা প্রতিহত করে এগিয়ে চলা উপকূলবাসী এখনো আঁতকে ওঠেন সিডরের ভয়াবহতা মনে করে। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের সেই ভয়াল স্মৃতি ভুলতে পারেননি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নদীতীরবর্তী কয়েক হাজার মানুষ। সিডরের আঘাতে উপজেলার ১৭ জন মানুষ সেদিন প্রাণ হারান। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বুঝতে না পেরে সময়মত আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে না পারায় প্রাণ হারাতে হয় তাদের। জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ অনেক গবাদিপশু। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেড়িবাঁধ, ফসলের মাঠ, অসংখ্য গাছপালা, পশু-পাখি। পুরো উপজেলা মুহূর্তেই ধ্বংস যজ্ঞে পরিণত হয়। কিন্তু ১২ বছর পার হলেও সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার নদীতীরবর্তী বেড়িবাঁধগুলো এখনো নির্মাণ করা হয়নি। ফলে কৃষকসহ নদীতীরবর্তী কয়েক হাজার মানুষ পানির সাথে যুদ্ধ করে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন। উপজেলার মঠবাড়ি ও বড়ইয়া ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রাম নিয়মিত পস্নাবিত হয়ে চরম কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এ ছাড়া ফসলের মাঠে পানি প্রবেশ করে প্রত্যেক মৌসুমে শতশত হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কোনো কোনো জমি চাষাবাদের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কৃষকসহ এলাকাবাসীর দাবি থাকলেও এখনো এই এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অন্য দিকে নদীতীরবর্তী গ্রামগুলোতে নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেল্টার। ফলে দুর্যোগের সময় জানমালের নিরাপত্তা অনেকটাই অপর্যাপ্ত রয়ে যায় এই জেলেপাড়ার অসহায় জনগোষ্ঠী বসবাসকারী জনপদে। এমনকি দুর্যোগ মোকাবিলা বা আগাম সর্তকবার্তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছাতে নেই কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার জানান, বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিষয়টি জেলা উন্নয়ন সভায় আলোচনা হয়েছে, এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রক্রিয়াধীন।