ফরিদপুরে পেঁয়াজের দাম কমল মণে ২ হাজার টাকা

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ফরিদপুরের বোয়ালমারীর চিতার বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতারা -যাযাদি
ফরিদপুর প্রতিনিধি ফরিদপুরে এক দিনের ব্যবধানে প্রতি মণে পেঁয়াজের দাম কমল ২ হাজার টাকা। জেলার দুই উপজেলায় কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে এমন তথ্য। শনিবার বোয়ালমারী উপজেলার চিতার বাজার, ময়েনদিয়া বাজার, জয় পাশা পেঁয়াজ বাজারে ব্যবসায়ীরা জানান, বাজার শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চাষিরা তাদের আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ নিয়ে বাজারে হাজির হয়। এ সময় ক্রেতারা ওই পেঁয়াজের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় পেঁয়াজের দর কমতে শুরু করে। নাছিম আহমেদ কবির নামে এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানান, চিতার বাজারের তিনি দুই মণ পেঁয়াজ নিয়ে যান। কিন্তু হঠাৎ করে দর পড়ে গেছে। পরে বাধ্য হয়ে তিনি ৭ হাজার টাকা মণে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। চিতার বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি মওলা বিশ্বাস জানান, আকর্ষিকভাবে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়ে ছিল। তবে গত দুই দিন ধরে সেই দর নেমে আশায় পেঁয়াজ বাজার স্থিতিশীল হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এ দিকে সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া, বালিয়াগট্টি বাজারের পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পুরনো পেঁয়াজ সর্বোচ্চ বিক্রয় হচ্ছে সাড়ে সাত হাজার টাকায়। অন্য দিকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজার মূল্য রয়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকার মধ্যে। ফরিদপুর শহরের হাজী শরীয়তুলস্নাহ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদ নূর ইসলাম মোলস্না জানান, শনিবার থেকে এ বাজারে পুরনো পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রয় হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে এবং নতুন হালি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রয় হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। জেলা কৃষি বিভাগ জানান, জেলার ৯ উপজেলাতে পেঁয়াজ মৌসুমে সময়ে ৪ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের উৎপাদন হয়। চলতি শীত মৌসুমের আগাম জাতের মুড়ি কাটা পেঁয়াজের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ হাজার মেট্রিক টন। এ ছাড়া জেলাতে তিন জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়, এর মধ্যে রয়েছে, হালি পেঁয়াজ (চারা থেকে উৎপাদন হয়), দানা পেঁয়াজ ( বীজ থেকে উৎপাদন হয়) এবং মুড়িকাটা পেঁয়াজ (গুটি থেকে উৎপাদন হয়)। ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, চলতি শীত মৌসুমে ফরিদপুরে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে। তিনি আরও জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অনেক চাষি তাদের আগাম জাতের পেঁয়াজ বাজারে তুলতে পারবে। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, চাষিরা বলেছে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ঘরে তুলতে পারবে তাদের পেঁয়াজ। আর এতে করে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হবে বলে তিনি জানান।