নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা পুনর্বাসিত হচ্ছেন

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা নদীভাঙনে সাজানো সংসার তছনছ হয়ে গেছে। অসহায় লতা বেগম (২৮) স্বামী ও দুটি অবুঝ কন্যাসন্তান নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দৌলতদিয়া মহাসড়কের পাশে বাহার নামে এক ব্যক্তির রান্না ঘরে। সেখানেই গত দেড় মাস ধরে কোনো মতে মাথা গুঁজে আছেন। নদীভাঙনে সর্বস্বহারাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে তালিকা হচ্ছে শুনে রোববার দুপুরে হন্তদন্ত হয়ে তিনি ছুটে আসেন দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুল মাঠে। তালিকা প্রস্তত্মুতির কাজে ব্যস্ত গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুলস্নাহ আল মামুনের কাছে তুলে ধরেন তার দুরবস্থা। দুরবস্থার বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি কেঁদে ফেলেন। এ সময় সহকারী কমিশনারসহ উপস্থিত সাংবাদিকরাও আবেগ আপস্নুত হয়ে পড়েন। জানা গেছে, এ বছর ভয়াবহ নদীভাঙনের শিকার হয়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দে?ৗলত?দিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ও ফে?রিঘাটসহ আশপাশ এলাকার ৬৭১টি পরিবার সর্বস্বহারা হয়। এদের মধ্যে সামর্থ্যবান কেউ কেউ ইতোমধ্যে অন্যত্র জমি কিনে কোনোমতে বাড়িঘর করতে পেরেছেন। তবে বেশিরভাগই এখনো বিভিন্ন উঁচু রাস্তা, রেল ও মহাসড়ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে এরা খুবই মানবেতর অবস্থার মধ্যে আছেন। সরেজমিন আলাপকালে সহকারী কমিশনার আব্দুলস্নাহ আল মামুন জানান, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা লতা বেগমদের মতো প্রকৃত অসহায়দের খুঁজে বের করতে রোববার থেকে বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তালিকা প্রস্তুত কাজে যাতে কোনো অনিয়ম না হয় কিংবা প্রকৃত কোনো অসহায় পরিবার বাদ না পড়ে সে জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলু জানান, নদীভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর মধ্যে যাদের বিকল্প জমি আছে সরকারিভাবে তাদের ওই জমিতে ঘর তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।