বানিয়াচংয়ে ব্রিজের অভাবে দুর্ভোগ

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি চেয়ারম্যান আর মেম্বার এলজিইডি অফিসে বার বার যোগাযোগ করে ক্লান্ত। দেড় বছর পূর্বে স্থানীয় এমপি দিয়েছেন ডিও লেটার। এরপরও হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ইয়ালা গ্রামের খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। ফলে সেখানকার দুটি স্কুলের কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রীকে বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তিন গ্রামে হাজার হাজার মানুষকে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাওর অধু্যষিত বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর ইউনিয়নের একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম ইয়ালা। গ্রামের পাশেই প্রবাহিত হচ্ছে ইয়ালা খাল। খালের একদিকে ৫০ বছরের পুরনো ইয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অপরদিকে ২৫ বছরের পুরনো ইয়ালা উচ্চবিদ্যালয়। প্রাইমারি স্কুলে অধ্যয়ন করে প্রায় ৮শ শিক্ষার্থী। হাইস্কুলে আছে দেড় হাজার শিক্ষার্থী। এটি মক্রমপুর ইউনিয়নের একমাত্র হাইস্কুল। স্কুলের পাশে রয়েছে একটি মসজিদ ও বাজার। খালের উপর থাকা বাঁশের সাঁকো দিয়ে ইয়ালা, সুলতানপুর ও কঢ়ুয়ার আব্দা গ্রামের ১৫ হাজার লোকজন যাতায়াত করে। সাঁকোর উভয়দিকে রয়েছে এলজিইডির ৬৩৬১১৫০৭০ আইডি নং সড়ক। কিন্তু ব্রিজ না থাকায় ওই রাস্তার সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। ইয়ালা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহিদ জানান, তার স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে আসতে হয়। এতে করে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। হাওর এলাকার শিশুর সাঁতার জানলেও অনেকেই পানিতে পড়ে গিয়ে জামা-কাপড় ও বই-পুস্তক নষ্ট করে ফেলে। এখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে। হবিগঞ্জ এলজিইডির সিনিয়র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল বাছির জানান, কিছু ব্রিজের তালিকা তৈরি করেছি সম্ভাব্যতা যাছাই করার জন্য। এই ব্রিজটিও তালিকায় অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা করব। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ছোট একটি ব্রিজের জন্য শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি মেনে নেয়া যায় না। এ ব্যাপারে উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।