হবিগঞ্জে শিমের বাম্পার ফলন

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি হবিগঞ্জে শীতকালীন সবজি শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্য সবজির তুলনায় কম পুঁজিতে বেশি লাভের কারণে ইদানীং শিম চাষে ঝুঁকছেন এ জেলার চাষিরা। গত বছরের তুলনায় ফলন ও দাম- দুটোই ভালো হওয়ায় বেজায় খুশি কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার হবিগঞ্জ জেলায় ১৩ হাজার ৮৬ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে। ধানি জমিগুলোতে আমন চাষ না করে সেই জমিতে জেলার মাধবপুর ও বাহুবলের বেশিরভাগ কৃষক চাষ করেছেন শীতকালীন সবজি শিম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার শিমের ফলনও হয়েছে ভালো। শুরুতে প্রতি কেজি শিম ১০০/১২০ টাকায় দামে বিক্রি হলেও বর্তমানে প্রতি কেজি শিম কৃষকরা পাইকারি ৫০/৬০ টাকা দামে বিক্রি করছেন। অল্প পুঁজিতে লাভ বেশি হওয়ায় শিম চাষে স্বাবলম্বি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। ঢাকা সিলেট-মহাসড়কের বাহুবল এলাকায় দিয়ে গেলে দেখা যায় শিম চাষের জমি। ধান চাষ করে লাভ না হওয়ার কারণে এ অঞ্চলের কৃষকরা এখন শিম চাষের প্রতি ঝুঁকছেন। বাহুবল উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের হাওরে গিয়ে অসংখ্য শিম চাষের জমি দেখা গেছে। এ গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এক সময় গ্রামের কৃষকগণ ধান চাষ করতেন। কিন্তু বাজারে ধানের মূল্য না থাকার কারণে ধান চাষ করে কৃষক লাভবান হচ্ছে না। বরং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কৃষকরা জানিয়েছেন বর্তমান বাজারে ধানের মূল্য সাড়ে ৪ থেকে ৪৮০ টাকা। আর প্রতি মণ শিমের মূল্য বর্তমান বাজারে পাইকারি ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যে কারণে কৃষকরা চলতি মওসুমে জমিতে আমন ধান চাষ না করে শিমের চাষ করেছেন। তবে এ অঞ্চলের কৃষক কৃষি বিভাগের কাছ থেকে কোনো প্রকার সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে শিমের উৎপাদন বাড়ছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তমিজ উদ্দিন খান। তিনি বলেন তুলনামূলকভাবে ধান চাষের চেয়ে শিম চাষ লাভজনক হওয়ার দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে।