দাকোপে তৎপর অতিথি পাখি শিকারিরা

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
দাকোপ (খুলনা) সংবাদদাতা খুলনায় দাকোপের বিভিন্ন এলাকায় নানা কৌশলে অতিথি পাখি নিধনে তৎপর হয়ে উঠেছে অসাধু পাখি শিকারিরা। এসব পাখি অগ্রিম অর্ডার নেওয়া খরিদ্দারদের কাছে বিক্রি করছে তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি বছর শীতের শুরুতে হিমালয় ও সাইবেরিয়াসহ শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি দাকোপ ও তার আশপাশের খালে বিলে আসে। আর এ সুযোগে স্থানীয় অসাধু শিকারিরা আইনের তোয়াক্কা না করে মাঠে নেমে মেতে উঠে পাখি নিধনে। শীত মৌসুমে হাজার হাজার পাখির কলকাকলীতে এ অঞ্চলের ছোট ছোট বিল ঝিলগুলো মুখরিত হয়ে উঠে। পাখির কিচিরমিচির শব্দে পরিবেশ হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। নভেম্বর মাসের শুরু থেকে অসংখ্য অতিথি পাখি এ দেশে আসে, আবার শীতের তীব্রতা কমে গেলে তারা ফিরে যায়। এদের মধ্যে বালি হাঁস, জলপিপি, কোম্বডাক, সরালী, কাস্তে চাড়া, পাতাড়ি হাঁস, কাদা খোচা, ডংকুর, হুরহুর, খয়রা, সোনা রিজিয়া অন্যতম। জানা যায়, আশির দশকে এদেশে আসা অতিথি পাখির সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে তিনশ প্রজাতির। কিন্তু বর্তমানে এর সংখ্যা নেমে সত্তর থেকে আশিতে চলে এসেছে। প্রচন্ড শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে পাখিগুলো এ অঞ্চলে আসে। জানা গেছে, পাখি শিকারীরা নাইলনের সুতা দিয়ে ছোট বড় ফাঁদ তৈরি করে পাখিদের চলার পথে পেতে রাখে। রাতের বেলায় এই ফাঁদে পাখি আটকা পড়ে। এ ছাড়াও চোখে আলো ফেলে, কেঁচো দিয়ে বর্শি পেতে, কোচ মেরে ও কারেট জাল পেতে এসব পাখি শিকার করা হয়। প্রশাসন তৎপর হলে এ সব পাখি শিকার বন্ধ হবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন পাখি শিকারী জানান, প্রতি রাতে ধান ক্ষেতে বসে পাখির ডাকের সাথে সুর মিলানো বাঁশি বাজিয়ে উড়ন্ত পাখিদের নিচে নামিয়ে ফাঁদে ফেলে পাখি শিকার করেন তারা। এসব পাখি অগ্রিম অর্ডার নেয়া ক্রেতাদের কাছে বিভিন্ন দামে বিক্রি করেন তারা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পরিতোষ কুমার রায় বলেন, এলাকার মানুষের কাছ থেকে তিনিও পাখি শিকারের কথা শুনেছেন। শিকারিদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।