মসজিদে মুসলিস্নর মৃতু্য বি.বাড়িয়ায় উত্তেজনা

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবদুর রহিম (৭০) নামে মাওলানা সাদপন্থী এক ব্যক্তির মৃতু্যর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫টার দিকে পৌর এলাকার পশ্চিম পাইকপাড়া বোর্ডিং মাঠসংলগ্ন আব্দুল আলীম ওয়াফকাহ ট্রাস্ট জামে মসজিদের ভেতর এ ঘটনা ঘটে। আবদুর রহিমের মৃতু্যর ঘটনায় সাদবিরোধীরা দায়ী বলে দাবি করেছেন সাদপন্থিরা। প্রত্যক্ষদর্শী পশ্চিম পাইকপাড়া বোর্ডিং মাঠসংলগ্ন আব্দুল আলীম ওয়াফকাহ ট্রাস্ট জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ জিয়াউল হক ফরিদ জানান, বুধবার আছর নামাজের পর পাড়ার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে মসজিদের মধ্যে দোয়ায় বসছিলেন আবদুর রহিম। এ সময় ২০-২৫ জন মাদ্রাসার ছাত্র এসে মসজিদের ভেতরে হট্টগোল শুরু করে। একপর্যায়ে তারা আবদুর রহিমের সঙ্গে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়। এ সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মসজিদের ভেতরেই ঢলে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এবিএম মুসা চৌধুরী তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাদ্রাসার ছাত্রদের হামলায় আহত মসজিদের মুসলিস্ন মো. নজরুল ইসলাম, আনিসুর রহমান ও শফিকুর রহমান বলেন, বাদানুবাদের একপর্যায়ে মাদ্রাসার ছাত্ররা তাদের কিলঘুষি মারেন ও টেনেহিঁচড়ে তাদের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেন। এদিকে আবদুর রহিমের মৃতু্যর খবর পেয়ে সাদপন্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা আবদুর রহিমের মৃতু্যর জন্য সাদবিরোধী কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের দায়ী করেন। এদিকে আবদুর রহিমের মৃতু্যর খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল কবীরের নেতৃত্বে পুলিশ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে শহরে যেন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এবিএম মুসা চৌধুরী জানান, হাসপাতালের আনার আগেই তিনি মারা গেছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তিনি মারা যান। এটা স্বাভাবিক মৃতু্য।